পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y G8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত ['২৩শ- প্লারিঃ বিদ্যারত্ন ভায়ার মাতৃহীন সর্বকনিষ্ঠা কন্যা রুমাকে কন্যা রূপে গ্রহণ করেন। তখন তার বয়স এক বৎসর। তাহাকে লওয়ার কিছু দিন পরেই তাহার গুরুতর রক্তামাশয় রোগ জন্মে। সেই সময় রাত্রি জাগরণ ও দুর্ভাবনাতে প্রসন্নময়ীর বহুমূত্র রোগের সঞ্চার হয়। তদবধি তঁহাকে স্বাস্থ্যের জন্য নানা স্থানে প্রেরণ করা হয়। কিছুতেই উপশম হয় নাই। অবশেষে ১৯০১ সালের জুন মাসে অঙ্গুলিতে ক্ষত হইয়া প্রসন্নময়ীর প্রাণ विशां० श् । বহুমূত্র রোগের আক্রমণ -প্রসন্নময়ী চলিয়া গেলেন। এদিকে সেই বৎসরেই আমাকে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সভাপতি নির্বাচন করাতে আমাকে গুরুতর পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল। সেই পরিশ্রম ও দুশ্চিন্তাতে, প্রসন্নময়ী চলিয়া যাওয়ার কিছু দিন পরেই, আমার বহুমূত্র রোগ প্রকাশ পাইল। তদবধি আর বসিয়া নিরূদ্বিগ্ন চিত্তে কাজ করিতে পারিতেছি না। বৎসরের মধ্যে কয়েক মাস স্বাস্থ্যের জন্য সিমলা, দাৰ্জিলিং, কটক, পুরী, প্রভৃতি স্থানে থাকিতে হইতেছে। ১৯০৪ সালে সমগ্র ভারত ভ্রমণ —এই অস্বাস্থ্যের অবস্থাতেও যথাসাধ্য সমাজের কাজ করা আবশ্যক হইতেছে। কিন্তু অনেক সময় সহরে না থাকাতে সাধনাশ্রমের কাজের ক্ষতি হইয়াছে। এই পীড়িত অবস্থাতেও এক বার ইচ্ছা হইল যে সমুদয় ভারতবর্ষ প্রদক্ষিণ করিয়া আসি। তদনুসারে ১৯০৪ সালের ফেব্রুয়ারী-মাসে পত্নী বিরাজমোহিনী:ও আশ্রম সংসৃষ্ট শ্রীমান হেমেন্দ্রনাথ দত্তকে লইয়া ভারত ভ্রমণে বহির্গত হই। বহির্গত হইবার সময় সঙ্কল্প করি যে, যাত্রার সাহায্যের জন্য বিশেষ ভাবে কাহারও নিকট সাহায্য ভিক্ষা করিব না। যাত্রার পূর্বে মন্দিরে ব্রাহ্মধর্ম্মের প্রচার বিষয়ে একটি বক্তৃতা করিব। সেই বক্তৃতা স্থলে একটি ভিক্ষার ঝুলি থাকিবে, স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া তাহাতে যিনি যাহা ফেলিয়া দিতে চান দিবেন, তাহাই আমাদের যাত্রার পাথেয় স্বরূপ হইবে। তদনুসারে: বক্তৃতার দিন একটি