পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৯১-১৯০৮ ] কোকানন্দ ; ১৯০৭ সালের গুরুতর পীড়া 8Gd বুলি ঝুলাইয়া দেওয়া হইল, তাহাতে বন্ধুর যিনি যাহা ফেলিয়া দিলেন, তাহা লইয়াই আমরা বহির্গত হইলাম • পথে এক বার মাত্র ভিক্ষা না। করার নিয়মের ব্যাঘাত করিয়াছিলাম। এলাহাবাদে এক জন ব্রাহ্ম বন্ধুকে আমাদের জন্য ভিক্ষা করিবার অনুমতি দিয়াছিলাম। সেখানে কিছুই হইল। না। তৎপরে আমরা ভিক্ষা করা একেবারে বন্ধ করিলাম। কাহাকেও আমাদের অভাব জানাইতাম না ; যিনি যাহা স্বতঃপ্রত্ত হইয়া দিতেন, তাহাই গ্রহণ করিতাম। এইরূপে আমাদের ব্যয় নির্বাহ হইত। আমরা এলাহাবাদ হইতে লক্ষ্মেী, লক্ষে হইতে কানপুর গেলাম। তৎপরে আগ্রা, দিল্লী, লাহোর, রাওলপিণ্ডী, ইন্দোর, বোম্বাই, মাঙ্গালোর, কালিকট, কোইম্বা টুর, বাঙ্গালোর, ত্রিচিনপল্লী, মান্দ্রাজ, বোম্বাই, নাগপুর হইয়া কলিকাতায় ফিরিলাম। কাহার ও নিকট কিছু ভিক্ষা না করিয়া স্বতঃপ্রবৃত্ত দানের দ্বারা আমাদের এই বিস্তীর্ণ ভ্রমণের সমুদয় ব্যয় সুচারু রূপে নিৰ্বাহ হইয়া গেল। অন্ধ, কন্ফারেন্সের সভাপতি হইয়া কোকনদী গমন।— তাহার পর আর এত দূর ভ্রমণ করি নাই। বিগত বৎসর, অর্থাৎ ১৯০৭ সালের মাৰ্চ মাসে, Andhru Conference এ সভাপতির কার্য্য করিবার জন্য এক বার কোকানদাতে যাই । সেখান হইতে কলিকাতাতে ফিরিয়া আসিয়া শরীরটা বড় খারাপ হয়। সেই অবস্থাতে বায়ু পরিবর্তনের জন্য দাৰ্জিলিঙ্গে যাই । ১৯০৭ সালে গুরুতর পীড়া --দাৰ্জিলিং হইতে পিতাঠাকুর মহাশয়ের গুরুতর পীড়ার সংবাদ পাইয়া সত্বর গ্রামে যাইতে হয়। তিনি আরোগ্য লাভ করিলে গ্রাম হইতে কলিকাতায় আসি। কলিকাতা আসিয়া ১৭ই জুন দিবসে আমি গুরুতর পীড়াতে পতিত হই। এই পীড়াতে রোগ শয্যায় যাপন করিয়া উঠিয়াছি। সেই পীড়ার শেষ ফল এখনও