পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૭8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত ਵਿ আমাদের গ্রামের হার্ডিঞ্জ মডেল বাঙ্গলা স্কুলে হেড পণ্ডিতের কাজ করেন। এক বার গবর্ণমেণ্ট স্কুল ঘর মেরামতের জন্য বাবার নিকট কিছু টাকা পাঠাইলেন। স্কুল ঘর মেরামত হইয়া গেলে কতকগুলি শালের খুঁটি প্রভৃতি বঁচিল । সেগুলি কি করিতে হইবে, অন্য কোনও গ্রামের স্কুল গৃহের মেরামতে যাইবে, কি নিলাম করিয়া গবর্ণমেণ্টের হস্তে টাকা জমা দিতে হইবে, ইহা জানিবার জন্য বাবা গবর্ণমেণ্টকে পত্র লিখিলেন। চিঠির উত্তর আর আসে না। দুই এক মাস অপেক্ষা করিয়া অবশেষে বাবা স্কুল গৃহের নিকটস্থ পুষ্করিণীতে খুঁটিগুলি ডুবাইয়া রাখিতে বলিলেন। সেইরূপ রাখা হইল। কিছু দিন পরে আমি যখন গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়ী গিয়াছি, তখন এক দিন সন্ধ্যাবেল বাবা ঘরের দাবাতে বসিয়া তামাক খাইতেছেন, এমন সময় এক জন গ্রামস্থ ভদ্রলোক দেখা করিতে আসিলেন। সমাগত ব্যক্তি। পণ্ডিত মশাই, প্রণাম হই । বাবা। এস বাপু ! কল্যাণ হোক ! ওঠ, দাবাতে ওঠ । বসে, তামাক খাও । সমাগত ব্যক্তি। থাক, আর দাবাতে উঠাব না। অল্প কথা, এই নীচে থেকেই ব’লে যাচ্ছি। জিজ্ঞাসা করি, ঐ স্কুলের পুকুরে যে খুঁটিগুলো ডুবিয়ে রেখেছেন, ওগুলো কি হবে ? বাবা । কি হবে তা জানি না। ও গবর্ণমেণ্টের জিনিস। তঁাদিগকে পত্র লিখেছি। হয়, অন্য কোনও স্কুলের মেরামতের জন্য যাবে ; না হয়, নিলাম ক’রে বিক্রী করতে হবে। সমাগত ব্যক্তি। ও খুঁটিগুলো আমাকে দিয়ে দিন না ? আপনাকে আমি কিছু ধ’রে দিচ্ছি। বাবা প্রথমে ঐ লোকটির প্রস্তাবের অর্থ বুঝিতে পারিলেন না। মনে করিলেন, খুঁটিগুলি কিনিতে চায়। তাই বুলিলেন, “তুমি কি আমার