পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f་སྟེ་རྩེ ] পিতার তেজস্বিতা । 89S চাঙ্গড়িপোতা ও তৎসন্নিকটবর্ত্তী গ্রামের কন্যা পক্ষীয় লোকদিগের বিবাদ হয়। এ বিবাদ কি জন্য ঘটিয়াছিল, তাহ বলিতে পারি না। অনুমান করি যে, বর পক্ষের বাৎস গোত্রীয় ভট্টাচার্য্য বংশীয় পদগর্বিত ব্রাহ্মণগণ অনুভব করিয়াছিলেন যে, তঁহাদের সমুচিত অভ্যর্থনা করা হয় নাই। যাহা হউক, তাহদের বিরক্তির ভাব বিবাহের পর হইতেই প্রকাশিত হইল। বিবাহের পরে যখন নিমন্ত্রিত ব্যক্তিদিগকে আমার মাতামহের গৃহের ছাদের উপরে আহারে বসান হইল, তখন বর পক্ষের লোকগুলি একত্র বসিলেন, এবং এই প্রতিজ্ঞা করিলেন যে গৃহস্থের জিনিসপত্রের অপচয় করিয়া বিভ্রাট ঘটাইবার চেষ্টা করিবেন। এই সঙ্কল্প অনুসারে তঁহারা মুঠা মুঠ লুচি কচুরি সন্দেশ প্রভৃতি ছাদ হইতে বাড়ীর পশ্চাতে নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। তাহার ফল। এই হইল যে, অপর জাতীয় যে সকল ব্যক্তিকে লুচি সন্দেশ দিবার আয়োজন করিয়া রাখা হইয়াছিল, বাধ্য হইয়া তাহাদিগকে চিড়া দৈ খৈ দিয়া পরিচর্য্যা করিতে হইল । এই জন্য আমার মাতামহ আমাদের জ্ঞাতিগণের প্রতি মহা বিরক্ত হইয়া গেলেন, এবং অগ্রে যেরূপ সন্তোষজনক রূপে বিদায় করিবেন ভাবিয়া রাখিয়াছিলেন, তাহা আর করিলেন না। আমাদের জ্ঞাতিগণও বিরক্ত হইয়া দেশে ফিরিলেন। ইহার ফল। এই হইল যে, আমার বালিকা মাতা যখন প্রথম শ্বশুর ঘর করিতে গেলেন, তখন তিনি সেখানে আবদ্ধ হইলেন ; আর তঁহাকে পিতৃগৃহে পাঠান হইল না। দুই বৎসর যায়, তিন বৎসর যায়, পিতৃগৃহের লোক গিয়া বার বার ফিরিয়া আসিতেছে ; মাকে আর ছাড়ে না । আমার বড় পিসী ও পিসা মহাশয়, র্যাহাদের উপর গৃহের কর্তৃত্বভার ছিল, তঁাহারাও জ্ঞাতিদের আপত্তি ও অসন্তোষ আগ্রাহা করিতে পারেন না। তখন পিতামহাশয় কলিকাতায় শ্বশুরের বাসায় থাকিয়া লেখা পড়া করিতেছেন। জ্ঞাতিদের এই ব্যবহারের বিষয় তিনি