পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ፃ 8 भित्रकाशिं भीन्न अङ्ग्यि5ऊि |- পাঠাইলেন। চাকর আসিয়া বলিল, “কাথায়ন বাড়ীর বড় কর্তা বাবুদের কাছারিতে ব'সে আপনাকে ডাক্‌ছেন।” গ্রামে ‘বাবু বলিলেই জমিদার বাবু বুঝায়। বাবা বলিলেন, “‘বাবুদের কাছারিতে বসে কেন ?” চাকর সে বিষয়ে কিছুই বলিতে পারিল না। বাবার যাইতে বড় ইচ্ছা হইল না ; কিন্তু কি করেন, দাদা ডাকিয়াছেন, না গেলেও নয়। অবশেষে অনিচ্ছা ক্রমে গেলেন ; তখন বাবুদের কৌশলের কথা মনেই আসিল না। সেখানে উপস্থিত হইয়া দেখেন, বড় বাবু ও বড় কর্ত্তা বসিয়া আছেন। বড় কর্ত্তাকে দেখিয়াই বাবা গম্ভীর হইয়া গেলেন ; জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি আমাকে ডেকেছেন কেন ? বড় কর্ত্তা দেখিয়াই বুঝিলেন, গতিক ভাল নয়। তখন বড় বাবুকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, “‘বাবু, আমি বলাতেই হারাণের বলা হচ্ছে। আমি বলছি শুনুন ; আমাদের বীে। কলকাতায় গিয়ে আছেন বটে, কিন্তু ছেলের বাড়ীতে নাই ; তঁরই বাড়ীতে র্তার কাছে ছেলে আছে।” যেই এই কথা বলা, অমনি বাবা দ্রুতবেগে সে স্থান ত্যাগ করিয়া আসিলেন ; এবং বড় কর্ত্তা তীহাকে অপমানিত করিলেন বলিয়া, তদবধি তিন বৎসর তাহার মুখ দর্শন করিলেন না। বাবাকে যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায় একগুয়ে বলিয়াছি, তাহারও : অনেক দৃষ্টান্ত আছে; তাহার কয়েকটি উল্লেখ করিতেছি। প্রথম একগুয়েমের দৃষ্টান্ত, আমার দ্বিতীয় বিবাহ। অগ্রেই বলিয়াছি যে, বাবা কোনও কারণে আমার প্রথম পত্নী প্রসন্নময়ীর প্রতি ও র্তাহার আত্মীয় স্বজনের প্রতি বিরক্ত হইয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে, প্রসন্নময়ীকে ত্যাগ করিয়া আমাকে দ্বিতীয় বার বিবাহ দিবেন। তঁহাকে এই প্রতিজ্ঞা হইতে বিচলিত করিবার জন্য অনেকে চেষ্টা করিয়াছিলেন। আমার মাতা ইহার বিরোধী ছিলেন ; আমি তখন ১৭১৮ বৎসরের ছেলে, আমি আমত প্রকাশ করিয়াছিলাম ; আমার মাতামহী প্রসন্নময়ীকে ভালবাসিতেন,