পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

税] পিতার স্বমতপ্রিয়তা ' 86 তিনি ঘোর আপত্তি উত্থাপন করিয়াছিলেন ; গ্রামের জ্ঞাতি কুটুম্ব বন্ধু বান্ধবের মধ্যে অনেকে আপত্তি উত্থাপন করিয়াছিলেন। বাবা কাহারও কথাতেই কর্ণপাত কবিলেন না ; বিবাহ দিয়া। তবে ছাড়িলেন। আর একটি বিষয়ও এইরূপ স্মরণীয়। আমি ব্রাহ্মসমাজে যোগ দিলে তিনি বলিলেন, “আমার পৈতৃক বিষয়ের এক কাণ কড়িও ওকে দেব না।” মধ্যে একটা উইল করিয়া আমার কনিষ্ঠ ও সর্বজ্যেষ্ঠা ভগিনীদ্বয়কে বাস্তু ভিটাতে স্থাপন করিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন । সে উইল গোপনে বাহির করিয়া লইয়া আমার মা ছিড়িয়া ফেলেন । তৎপরে বহু বৎসর চলিয়া গেল। আমি নিজ ব্যয়ে বাবা ও মার মস্তক রাখিবার জন্য আগেকার খ’ড়ো ঘরের পরিবর্ত্তে কোটা বাড়ী করিয়া দিলাম ; মা তাহাতে কয়েক বৎসর বাস করিয়া স্বৰ্গারোহণ করিলেন। র্তাহার স্বৰ্গারোহণের পর বাবা নিজের সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিবার জন্য আবার এক উইল করিয়া আমার কনিষ্ঠ ভগিনীকে পৈতৃক ভিটাতে স্থাপন করিলেন, এবং আমাকে সমুদয় পৈতৃক সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত করিলেন ; সামান্য চারি খণ্ড ব্রহ্মোত্তর জমি ছিল, তাহার তিন খণ্ড আমার তিন ভগিনীকে দিয়া, তাহদের অনুরোধে সামান্য এক খণ্ড, জমি আমার পুত্র প্রিয়নাথকে দিলেন। তঁহার দুইখানি গ্রন্থের একখানি প্রিয়নাথকে ও অপরখানি আমার পত্নী বিরাজমোহিনীকে দিলেন। আমার নির্ম্মিত কোটা বাড়ীটি তিনি যে আমার কনিষ্ঠ ভগিনীকে দিয়াছেন, তাহার এই ব্যবস্থাতে আমি সম্মতি দিয়াছি; কারণ আমার কনিষ্ঠ ভগিনী প্রাণ দিয়া বহু বৎসর তঁাহার সেবা করিয়াছে। আমি প্রথমে বলিয় , “উইল লেখা, উইল রেজিষ্টারি করা প্রভৃতির প্রয়োজন কি ? আপনার কি ইচ্ছা, বলিয়া যান ; আমি তদনুরূপ ব্যবস্থা করিব।” শেষে ভাবিলাম, একগুয়ে মানুষের মনের ইচ্ছাটা সম্পন্ন না হইলে মনটা স্থির হইবে না ; তাই উইল লিখিতে,