পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিষ্ট1, . * পিতার সহৃদয়তা , , 89. অন্নমুষ্টি না দিয়া তিনি আহার শেষ করিতেন না। অনেক দিন-কুকুরকে DDB BBDB DDD S BD D0 DDDD DDD BDBB S DBBB SDB LS ভাগিনেয়। ভাগিনেয়ীদের সঙ্গে তাহার ঝগড়া হইত। আমাদের একটি বিড়াল আছে, মা তার নাম রাখিয়া গিয়াছেন “দুলচী', অর্থাৎ তার গায়ে দুলিচার ন্যায় সুন্দর সুন্দর দাগ আছে। সেই দুলচী বাবার বড় আদুরে ছিলেন। তিনি মাছ ভিন্ন আহার করিতেন না, এবং বিছানা ভিন্ন শুইতেন না । মাতাঠাকুরাণীর যখন কাল হইল, তখন কয়েক দিনের জন্য আমাদের বাড়ীতে মাছ আনা বন্ধ হইল। বাবা বাড়ীর ছেলেদের জন্য তত ব্যস্ত হইলেন না, দুলচীর জন্য যত ব্যস্ত হইলেন। আমার ভগিনী কুসুমকে বলিতে লাগিলেন, “ওরে কুসী, দুলচীর জন্যে মাছ আনতে দে।” কুসুম বলিল, “নেও নেও, রেখে দাও ; বেরালের জন্যে আবার মাছ কিনতে দেব ! যা নয়, তাই!” বাবা বলিলেন, “ও কি শ্রাদ্ধ করতে বসেছে ? ও মাছ খাবে না কেন ?” কুসুম। না, এ ক'দিন বাড়ীতে মাছ আসতে দেব না। বাবা। আচ্ছা, তবে ওকে তোর বড় পিসীর বাড়ী থেকে মাছ খাইয়ে আন। ” এই লইয়া দুই জনে খুব ঝগড়া চলিল। ইতিমধ্যে আর এক ঘটনা উপস্থিত। কিছু দিন পরে দুলচীর তিন চারিটি ছানা হইল। বাবা মহা ব্যস্ত, ‘ওরে কুসী, দুলচী রোগা হ’য়ে গেছে ; ছানাগুলো দুধ পাবে না। আর আধ সের দুধ রোজ করা: ওরা খাবে, আর গিল্পী পাখীটা রেখে গেছেন, সেটাও খাবে। ” কুসুম। এমন কথা কখনো শুনিনি যে, বেরাল ছানার জন্যে দুধ রোজ করে ! বাবা । আহা, ওরা শিশু ।