পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sybr শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত fা পরিা অনেক পরিমাণে আমার জননীকে দেখিয়া । তিনি যে কেবল তাহার স্তন্যদুগ্ধের দ্বারা আমাকে পালন করিয়াছিলেন, তাহা নহে; তঁহার চরিত্রের দ্বারাও আমার চরিত্র গঠন করিয়াছিলেন । (৩)-জ্যেষ্ঠ মাতুল দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ ১৮৫৬ সালে আমি যখন আমার পিতার সহিত কলিকাতাতে পড়িতে আসিলাম, ও চাপাতলায় আমার মাতামহের বাসাতে উঠিলাম, তখন মাতামহ মহাশয় সেখানে ছিলেন না। তিনি পীড়িত হইয়া দেশে ছিলেন। আমি সেই সময় হইতে বাসার অপরাপর লোকের ব্যবহার ও আমার জ্যেষ্ঠ মাতুল দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের ব্যবহারে কিছু পৃথক দেখিতাম। তিনি তামাকটি পর্য্যন্ত খাইতেন না ; সর্বদ গম্ভীর, বাসার আমোদ প্রমোদে যোগ দিতেন না ; এবং সর্বদা পাঠে মগ্ন থাকিতেন। তিনি বোধ হয় তখন র্তাহার ‘গ্রীস ও রোমের ইতিহাস’ লিখিতেছেন। গৃহে যেমন তঁহাকে পাঠে নিযুক্ত দেখিতাম, সংস্কৃত কলেজে পড়িতে গিয়াও দেখিতাম, তিনি লাইব্রেরি গৃহের এক কোণে পাঠে নিমগ্ন আছেন। এমনি গম্ভীর যে লোকে তঁহার কাছে। যাইতে ভয় পায়। বাস্তবিক, তিনি এমনি গভীর মানুষ ছিলেন যে, আমার মার মুখে শুনিয়াছি, দাদা ঘরে আছেন দেখিলে ভগিনীরা পায়ের মল টানিয়া হাঁটুর কাছে তুলিয়া আস্তে আস্তে সিউড়ীতে নামিতেন। বড় মামার এত কম কথা কহা অভ্যাস ছিল যে, আমাকে যে এত ভালবাসিতেন। আমাকেও কখনও একটি আদর বা ভালবাসার কথা বলেন নাই । তিনি বসিয়া আছেন বা বেড়াইতেছেন দেখিলে আমরা সে ধারা দিয়া যাইতাম না । আমার বয়স যখন ১২ কি ১৩ বৎসর, ও আমার বড় মামীর বয়স ১৭ কি ১৮, (ইনি বড় মামার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী,) তখন মাসীরা একটা কথা লইয়া বড় হাসাহসি করিতেন, তাই মনে আছে। সে কথাটা এই ৷