পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f祕]翰 · ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর । প্রথমে বড় মামা আঁহাদের সঙ্গে যোগ দিয়া সেটিকে ভাল করিবার প্রয়াস পাইলেন। দুই তিন বৎসরের মধ্যেই অনুভব করিলেন যে সে প্রয়াস বৃথা । তখন নিজের উপরেই , স্কুলটির উন্নতি সাধনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব লইয়া সেই কার্য্যে দেহ মন অর্পণ করিলেন। তঁহার ন্যায় এক জন দরিদ্র ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের পক্ষে ইহা যে অতিশয় দুঃসাহসিকতার কার্য্য, এ কথা এক বারও স্বর্তাহার মনে আসিল না । স্কুলটির সমগ্র ব্যয়ভার তঁাহার উপরেই পড়িয়া গেল। এই ভার তিনি মৃত্যুর দিন পর্য্যন্ত বহন করিয়াছেন। মাসের প্রথমে সংস্কৃত কলেজের বেতন পাইলেই সেই দিন বাড়ী ফিরিবার সময় তিনি প্রথমে স্কুলে গিয়া স্কুলের আয় ব্যয় দেখিয়া, আবশ্যক মত? নিজ বেতন হইতে অর্থ সাহায্য করিয়া শিক্ষকদিগের বেতন দিবার বন্দোবস্ত कब्रिश्न उठत बांऊँी बांईडन । আমার মাতুলের উদারতা ও মহত্ত্বের কোনও কোনও বিবরণ অগ্রে দিয়াছি, তাহার পুনরুক্তি আর করিলাম না। সংক্ষেপে এই মাত্র বলিতে পারি যে, আমার পিতা মাতার চরিত্রের পর আমার মাতুলের চরিত্র আমার চরিত্র গঠনের পক্ষে প্রধান রূপে কার্য্য করিয়াছে । তাহার জ্ঞাননিষ্ঠ, তঁহার কর্ত্তব্যপরায়ণতা, তঁাতার স্বদেশানুরাগ, তাহার অকপট:চিত্তত চির দিন আমার মনে মুদ্রিত রহিয়াছে। আমার ‘রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ” নামক গ্রস্তে র্তাহার জীবনচরিত দিয়াছি। ( 8 )-পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আমার মাতুলের পরেই র্যার সংশ্রবে। আসিয়া আমি বিশেষ রূপে উপকৃত হই, তিনি পণ্ডিতবর। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আমি ১৮৫৬ সালে নয়। বৎসর বয়সে কলিকাতায় আসি। আসিয়া সংস্কৃত কলেজে ভর্ত্তি হই। তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় ঐ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। কেবল তাহা নহে, বন্ধুতাসুত্রে আমার মাতুলের সঙ্গে দেখা করিবার জন্য মধ্যে