পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শান্ত্রিীর আত্মচারিত - গোপনে বলিলাম যে, ধর্ম্ম প্রচারে জীবন দিতে আমার ইচ্ছা; তিনি তাহাতে দ্বিরুক্তি করিলেন না। বলিলেন, “তুমি যাহাতে সুখী হও, তাহাই কর।” আমি বিধাতার দ্বারা চালিত হইয়া অল্পে অল্পে ধর্ম্ম প্রচারের পথে আসিয়া পড়িলাম। প্রসন্নময়ী বিরোধী হইলে, কখনই এ পথে সুখে ও সহজে আসিতে পারিতাম না । তিনি কেবল ষে বাধা দিলেন না, তাহা নহে ; বরং সকল প্রকার দারিদ্র্য ও পরীক্ষা বহন করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইলেন। এদিকে দুই একটি করিয়া গৃহহীন বালিকার জন্য আমাদের গৃহের দ্বার উন্মুক্ত করিতে হইল। ক্রমেই তাহদের সংখ্যা বাড়িতে লাগিল। আমি আনিতাম, তাহাতে যেন আশ মিটিত না ; প্রসন্নময়ী নিজেও জুটািইতেন। এই রূপে বিভিন্ন সময়ে আমাদের গৃহে বিশ বাইশটি বালক বালিকা আশ্রয় লইয়াছে। প্রসন্নময়ী ইহাদিগকে নিজের সন্তান নির্বিশেষে পালন করিতেন । সে বিষয়ে কোন প্রভেদ করিতেন না। তাহদের আবদার ও উপদ্রব সহিতেন, তাহাদিগকে রাধিয়া খাওয়াইতেন, রোগে সেবা করিতেন, কোনও প্রকারে মায়ের অভাব জানিতে দিতেন না। অধিক কি, ইহা বলিলে অত্যুক্তি হয় না যে, সকল গৃহস্থের গৃহের চারি দিকেই প্রাচীর থাকে, বিনা অনুমতিতে কেহ গৃহে প্রবেশ করিতে পারে না, এবং তাহারা আপনাদেরটি আগে দেখিয়া পরেরটি পরে দেখে ; কিন্তু প্রসন্নময়ীর হৃদয়ের গুণে আমার গৃহের চারি দিকে যেন প্রাচীর ছিল না ; যে আসিয়া আপনার হইয়া থাকিতে চাহিত, সেই বসিতে পাইত ; আশ্রয়ার্থী হইয়া কেহই বিমুখ इछेड न। এখন তঁহার কতকগুলি” গুণের কথা বলি। তঁহার প্রধান গুণ, পরকে আপনার করা। এ বিষয়ে তাহার সমকক্ষ পুরুষ বা স্ত্রীলোক দেখি নাই। যে সকল বালিক- এক সময়ে আমাদের গৃহে