পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৪৭-৫৬] প্রপিতামহের শাস্ত্রজ্ঞান ও সংস্কৃতানুরাগ গ্রামের পণ্ডিতদিগের মধ্যে অনেকে মধ্যে মধ্যে কঠিন কঠিন প্রশ্ন বিষয়ে শাস্ত্রীয় ব্যবস্থা জানিবার জন্য তঁাহার নিকট আসিতেন। তখন চীৎকার করিয়া প্রশ্নগুলি তাহাকে বোঝান ও ব্যবস্থা লওয়া এক মহা ব্যাপার পড়িয়া যাইত। বয়সে অতি প্রাচীন হইলেও তিনি সেরূপ স্মৃতিশক্তি DDDD DDD S SBDBD DDD DBDB BSBD BBB BBB DDDBB BBB দিতেন । সেই বৃদ্ধ বয়সেও তঁহার জ্ঞানালোচনাতে আনন্দ দেখিতাম । তঁহার সংস্কৃতজ্ঞান বিষয়ে দুটি উল্লেখযোগ্য বিষয় আছে। প্রথমটি এই। অনুমান ১৮৫১ কি ১৮৫২ সালে আমাদের গ্রামের স্কুলের মধ্যে একটি সংস্কৃত শিক্ষার শ্রেণী খোলা হয়। আমাদের জ্ঞাতিবর্গের বাড়ীর অনেক ছেলে তাহাতে ভর্ত্তি হয় ; এবং আমার মাতার জ্যাঠতুতো ভাই চাঙ্গড়িপোতা গ্রাম নিবাসী কৈলাসচন্দ্র চক্রবর্ত্তী মহাশয় সেই সংস্কৃত শিক্ষা শ্রেণীর শিক্ষক নিযুক্ত হন । তিনি কর্ম্ম লইয়া আমাদের গ্রামে গিয়া আমাদের বাড়ীতেই বাস করিতে থাকেন ; এবং সংস্কৃত কাব্যাদির বিচার বিষয়ে আমার প্রপিতামহের এক জন সহায় ও সঙ্গী হইয়া পড়েন । প্রাতে গ্রামের কোনও কোনও ব্রাহ্মণ যুবক তঁহার নিকট পড়িতে আসিতেন। তঁহাদের মুখে প্রপিতামহ মহাশয় সংবাদ পাইতেন, তাহারা কি পড়েন ; তাহাতে আতিশয় আনন্দ প্রকাশ করিতেন। আমি কলিকাতা হইতে বাড়ী গেলেই দেখিতে পাইতাম, তিনি কৈলাস মামাকে ডাকিয়া তিন চরণ সংস্কৃত কবিতা পাঠ করিয়া, শেষ চরণ কি তাহা জানিতে চাহিতেছেন ; কৈলাস মামা আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া আমার মাকে বলিতেছেন, “দিদি, কি আশ্চর্য্য ! এ সকল শ্লোক এখনও ওঁর স্মরণ আছে!” অপর ঘটনাটি হাস্যজনক । আমি ১৮৫৬ সালে যখন কলিকাতায় আসিয়া সংস্কৃত কলেজে ভর্ত্তি হইলাম, তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় সেখানকার কর্ত্তা । তিনি তৎপর্বে মর্থবোধ ব্যাকরণ পড়ান বন্ধ করিয়া নিয়া