পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ২য় পরিঃ শ্রেণীতে র্তাহার প্রণীত উপক্রমণিকা ধরাইয়াছেন। আমরা উপক্রমণিকা অনুসারে সংস্কৃত শিক্ষা আরম্ভ করিলাম। তৎপরে গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়ীতে আসিলে, আমার প্রপিতামহদেব শুনিলেন যে আমি সংস্কৃত কলেজে ভর্ত্তি হইয়াছি; তাহ শুনিয়া আনন্দিত হইলেন। এক দিন সন্ধ্যার সময় আমাকে নিকটে বসাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “বাবা ! / রাম শব্দের ‘টি’-তে কি হয়, বল তাঁ।” আমি বালকের কণ্ঠস্বরে চীৎকার কুরিয়ু বলিলাম, “রাম শব্দের আবার ‘টা কি ?--রািমটা।” তখন তিনি বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “ঘোড়ার ঘাস কাঢ়বে।” “রাম শব্দের তৃতীয়ার এক বচনে কি হয়” বলিয়া জিজ্ঞাসা করিলে আমি বলিতে পারিতাম । “রামেণ’ । কিন্তু আমি ত মুগ্ধবোধ পড়ি নাই, কাজেই রাম শব্দের ‘টি’ যে কি, তাহা বুঝিতে পারিলাম না। ইহা লইয়া আমার বাবার সহিত প্রপিতামহদেবের কথা হইল ; বাবা সমুদয় কথা বুঝাইয়া দিলেন। কিন্তু সংস্কৃত ব্যাকরণ পড়িতেছি না শুনিয়া তিনি বড়ই দুঃখিত হইলেন। বাবার মুখে শুনিয়াছি, প্রপিতামহ মহাশয়ের সময়ে কলাপ ব্যাকরণ পড়িবার রীতি ছিল, তদনুসারে তিনি যৌবনে কলাপ ব্যাকরণ পড়িয়াছিলেন। কিন্তু আমার পিতা মহাশয়ের পঠদ্দশাতে মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ পড়িবার রীতি প্রবর্ত্তিত হইয়াছিল। তদনুসারে প্রপিতামহ মহাশয় বোধ হয় মনে করিয়াছিলেন যে আমি মুগ্ধবোধ পড়ি ; সেই জন্যই প্রশ্ন করিয়াছিলেন, “রাম শব্দের ‘টা’-তে কি হয় ?” মাতার উপর প্রপিতামহের প্রভাৰ।।-প্রপিতামহদেব আমার মাতার মন্ত্রদাতা গুরু ছিলেন। সুতরাং সময়ে অসময়ে মাতাকে ডাকিয়া, কোন স্থলে কিরূপ কর্ত্তব্য, সে বিষয়ে উপদেশ দিতেন। এই সকল উপদেশ আমার মাতার অন্তরে এরূপ দৃঢ়বদ্ধ হইয়া গিয়াছিল যে, তিনি সমগ্র জীবনে ঐ সকল উপদেশ হইতে এক পদও বিচলিত হন নাই বলিলে BDB D BDSS BBDBDD DDBDBD DBB BDBDBD DBBD DS