পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ মাতুল ও পিতার সহিত কলিকাতায় বাস SCV-V) সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ -১৮৫৬ সালের আষাঢ় মাসে বাবা আমাকে কলিকাতায় আনিলেন। তঁহার ইচ্ছা ছিল যে আমাকে ডেভিড হেয়ারের স্কুলে ভর্ত্তি করিয়া দিয়া ইংরাজী শিখাইবেন ; কারণ, তিনি দেখিয়াছিলেন যে তিনি সংস্কৃত শিক্ষাতে এত বৎসর দিয়াও এবং কলেজ হইতে সুখ্যাতির সহিত উত্তীর্ণ হইয়াও ২৫ টাকার অধিক বেতন পাইলেন না। সুতরাং বুঝিয়াছিলেন যে ইংরাজীর গন্ধ না হইলে কাজ কর্ম্ম পাইবার সুবিধা নাই। কিন্তু তাহার অবস্থাতে তাহা করিতে দিল না । তিনি তখন বৃৰ্দ্ধমান জেলায় আমদপুত্বে/পণ্ডিত করিয়া আসিয়া কলিকাতা বাঙ্গলা পাঠশালাতে ২৫ টাকা মাসিক বেতনে কর্ম্ম করিতেন। অতএব পুত্রকে উৎকৃষ্টরূপে ইংরাজী শিখাইবার যে বাসনা ছিল তাহা তাহাকে পরিত্যাগ করিতে হইল। কেবল তাহাই নহে। হেয়ার স্কুলে না দিবার আরও একটি কারণ উপস্থিত হইল। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ। ঐ কলেজে আমার মাতুল দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয় অধ্যাপকতা করিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় আমার মাতুলের সহাধ্যায়ী বন্ধু ছিলেন। তিনি সপ্তাহের মধ্যে তিন চারি দিন আমাদের বাসাতে আসিতেন, এবং আমাকে নিকটে পাইলেই দুইটা আঙ্গুল চিস্টার মত করিয়া আমার পেট টিপিতেন । সুতরাং বিদ্যাসাগর আসিয়াছেন শুনিলেই আমি সেখান হইতে পলাইতাম। যাহা হউক,