পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գեր শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৩য় পূরঃ ভিতরে আমাদের কাছে রইল, ‘মামা'র হাতে ত রইল না। এলে খুলে দেব, তার ভয় কি ?” যেদে তাই বুঝিল এবং ছোরা লইয়া। বাহিরের দরজার কাছে বসিয়া রহিল। আমি বাড়ীর ভিতরে উপরের ঘরে শুইতে গেলাম। গিয়া শুনি, ‘মামা’ বাসার পশ্চাতে অপর এক গণিকালয়ে গিয়া মাতালি সুরে এক গান ধরিয়াছে। সে রাত্রে সে আর त्रां ऊठनिळल । | পর দিন মাতুল মহাশয় সহরে আসিলে আমি এই বৃত্তান্ত র্তাহার গোচর করিলাম। তিনি কুপিত হইয়া বাসা হইতে ইহাদিগকে তাড়াইয়া দিলেন। ইহার পরে আমার মাতামহী ঠাকুরাণী ও আমার বড় মুমী আসিয়া কিছু দিন কলিকাতাতে ছিলেন। তঁহাদের পদার্পণে বাসা পবিত্র হইয়া গেল। মাতুল মহাশয়ের শনিবার বাড়ী যাওয়া বন্ধ হইল। মামী ঠাকুরাণী মাতুলের তৃতীয় পক্ষের পত্নী, আমি অপেক্ষা চারি পাঁচ বৎসরের বড়। তিনি মাতামহীকে গোপন করিয়া আমাকে মিঠাই আনিতে পয়সা দিতেন, মিঠাই আনিয়া রাত্রে দুই জনে খুব খাইতাম। এ পেটুকের সেই সময়টা যে কি সুখেই গিয়াছিল, তাহ বলিতে পারি না। মাতুলের উন্নত চরিত্রের প্রভাব।—অগ্রে বলিয়াছি, বড় মামার কাছে এক বার একটি মিথ্যা কথা বলিয়াছিলাম ; তাহার বিবরণ এখানে দিতেছি। আমার দুই জন সহাধ্যায়ী বন্ধুর জননীকে আমি মাসী বলিতাম ও তাহদের বোনকে বোন বলিতাম। তঁহারা বাস্তবিক আমাকে মাসীর ন্যায়। ভালবাসিতেন । এই দুই বন্ধুর মধ্যে এক জনের বাড়ীতে আমরা কয়েকটি বালক একবার এক ছুটির দিনে সম্মিলিত হইয়াছিলাম। নানা প্রকার ক্রীড়া কৌতুকের মধ্যে একটি বালক একখানা বােতল-ভাঙ্গা কঁাচ লইয়া হাসিতে হাসিতে বলিল, “দেখ ভাই, এই কঁচ যদি কেহ চিবাইয়া ভাঙ্গিতে পারে, তবে তাকে এখনি এক টাকা দি ”