পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১১

y 7 go-so উড়ো সাহেব ও চট জুতা তুলিল। চালকদ্বয় তাহাব জল ছেচিয়া পবিষ্কাব কবিতে প্রবৃত্ত হইল, বাহ্মণযুবক কুলীব। হ্যায় মাথায় কবিয়া আমাদেব জিনিসপত্র বহন কবিতে ধ্ৰু হইল। আমি চাহিয়া দেখি যে, সেই সময়ে পথে পতিত একটা ভগ্ন ফেলতাব চাকোব উপবে পা দেওয়ায, তাহাব পায়ে অনেকগুলি বোলতা কামডাঈয়াছে, তাহাব পা ফুলিয়া উঠিতেছে, তবু সে সেই কাজ কবিতেছে। তাহা দেখিয়া তাহাব প্রতি কিরূপ কৃতজ্ঞতাব উদয় হইল, তাহ আব্ব ভাষায় বর্ণন কবিবাৰ নহে । আমি ব্রাহ্মণ তনয়কে পাবে অর্থসাহায্য করিয়াছিলাম, এবং পাবে যখনই শালতি কবিয়া বাড়ী যাইতাম, সেই গ্রামে উঠিয়া তাহাদিগকে অন্বেষণ কবিয়া কিছু কিছু অর্থসাহায্য কবিয়া যাইতাম। সে গ্রামটা যেন আমার তীর্থস্থানেব ন্যায় হইযাছিল । কয়েক বৎসব পাবে একবাব গিয়া আৰ তাহাদেব উদেশ পাইলাম না । উড্রো সাহেব ও চটি জুতা।--সাল ও তাবিখ মনে নাই, ভবানীপূবে চৌধুৰী মহাশয়দিগেব আশ্রয়ে বাসেব কালে, একবাব আমাব পিতাঠাকুব মহাশয় একখানি সবকবি কাগজ আমাব নিকট পাঠাইয়া আদেশ কবিলেন, তাহা আমাকে স্বৰ্ষং গিয়া স্কুলসমূহেব ইনস্পেক্টব উড়ো সাহেবেবী হাতে দিতে হইবে। তদনুসাবে একদিন কলেজে যাইবাব পথে আমি উড়ো সাহেবে আপীসে উপস্থিত হইলাম। তাহাব। আপীস-গৃহে প্রবেশ কবিয়া তাহাব জন্য অপেক্ষা কবিতে লাগিলাম। সাহেব তখন পাশেব ঘবে আহাবে বসিয়াছিলেন, কিয়ৎক্ষণ পরেই উপস্থিত হইলেন। আমি অভিবাদন কবিয়া তাহাব হন্তে কাগজখানি দিলাম। তিনি কাগজখানি লইতে চাহিলেন না ; বলিলেন, “তুমি আপীসঘরেব বাহিৰে জুতা খুলিয়া এস নাই কেন ?” আমি। এ ঘরে প্রবেশ করিবার সময় জুতা খুলিতে হয় এ নিয়ম যে আছে, তা তো জানিতাম না ; তাহা হইলে, এ ঘরে প্রবেশ করিতাম না ।