পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»૪૭૨-૭૧ } ধর্ম্মেব আদেশে চলিবাব সংকল্প Y 0Qy উমেশ ও আমি চিৎপুব বোড দিয়া আসিতেছি, এমন সময় বৃষ্টি আসিল তখন কেশববাবু চিৎপুব বোডে “কলিকাতা কলেজ” নামে একটী কলেজ খুলিয়াছিলেন। আমবা বৃষ্টিব্য ভয়ে ঐ কলেজের বাবাঙাব নীচে গিয়া দাডাইলাম। উমেশ আমাকে ভিতবে যাইবাব জন্য পীড়াপীড়ি কবিতে লাগিল , আমি লজাতে ভিতবে যাইতে পাবিলাম না । এমন সময় একটি পশ্চিমে বেঙ্গাবা উপব হইতে নামিয়া আসিল । আমবা কেশববাবুব কথা জিজ্ঞাসা কৰাতে সে বলিতে লাগিল, “কেশববাবু মানুষ নয়, দেবতা , তাব কাছে চল, দুটী কথা শুনলে প্রাণ জুডিষে যাবে।” তবে প্রভু-ভক্তি দেখিয়া তাঙ্গা পৰীক্ষা কবিবাবে জন্য আমবা কেশববাবুব কল্পিত নিন্দ আবিস্ত কবিলাম। তাহাতে সে অতিশয় বিবক্ত হইল , এবং অবশেষে আকাশেব দিকে দুই হাত তুলিয়া কেশববাবুব দীর্ঘজীবনেব জন্য ঈশ্ববেব নিকট প্রার্থনা কবিতে লাগিল। আমি দেখিয়া স্তব্ধ ও মুগ্ধ হইয়া গেলাম। বলিলাম, “উমেশ, এ সামান্য মানুষ নয়, র্যাব চাকব এত দূব আকৃষ্ট হতে পাবে।” তখন উমেশ আবাব আমাকে কেশববাবাব নিকট যাইবাব জন্য চাপিয়া ধবিল , কিন্তু আমি লজ্জাবশতঃ যাইতে পাবিলাম না। ইহাব পাবে উমেশ যোগেন্দ্র ও অপবাপব ক্লাসেব ছেলেদেব সঙ্গে আমি আমাদেব পূর্ব্বতন সহাধ্যায়ী বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অঘোবনাথ গুপ্ত এই বন্ধুদ্বয়েব বাসাতে মধ্যে মধ্যে যাইতে লাগিলাম। ইহঁরা এক সময় আমাদেব সঙ্গে একশ্রেণীতে পড়িতেন ; কিন্তু তখন ব্রাহ্মণ ধর্ম্ম-প্রচাবক হইয়াছিলেন। একদিন বাত্রে বিজয় ও অঘোবি আমাকে আব্ব ভবানীপুবে যাইতে দিলেন না, নিজেদেব বাসাতে বাখিলেন। আমাব স্মবাণী আছে যে, সে রাত্রে তাহাদেব বাসাতে অম্ভজাতীয়া স্ত্রীলোকের রাধা ভাত মাটির সানকে খাইয়া সমস্ত রাত্রি এত গা ঘিলঘিন কবিয়াছিল যে ভাল করিয়া ঘুমাইতে পারি নাই।