পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ve শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৬ষ্ঠ পরিা: গেলেন। আমার যতদূর স্মরণ হয়, আমি কুমারী রাধারাণী লাহিড়ীকে বলিয়া কহিয়া তাহাকেও লেখিকা কবিয়াছিলাম। অবলাবান্ধবে আমার গদ্যপদ্যাত্মক প্রবন্ধ মধ্যে মধ্যে প্রকাশিত হইত। দুঃখের বিষয়, উক্ত পত্রিকার একখানি ফাইল খুজিয়া পাই নাই। অবলা-বান্ধবেব সহিত যোগ রহিয়াছে, সেই সময়ে একদিন কলেজে পড়িতেছি, এমন সময়ে উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় আসিয়া আমাকে বলিল “ওবে ভাই, অবলা-বান্ধবেব এডিটাব কলিকাতায় এসেছে, আমাদেব সঙ্গে দেখা করতে এসেছে।” অমনি আমি আমাদের “হিরো”কে দেখিবাব জন্য বাচিব হইলাম। গিয়া দেখি এক দীর্ঘাকৃতি একহারা পুরুষ স্কুল-মাষ্টারের মত লম্বা চাপিকান পরা, দাড়াইয়া আছেন। তিনি দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিন আর অধিক কথা হইল না । সে যাত্রা বোধহয় তিনি কয়েক দিন পরেই দেশে চলিয়া গেলেন ; কিন্তু কিছুদিন পরেই “অবল-বান্ধব।” লইয়া কলিকাতায় আসিলেন ; এবং পূর্ববঙ্গীয় যুবকদিগেব নেতাস্বরূপ হইয়া ব্রাহ্মসমাজে স্ত্রীস্বাধীনতাল পতাকা উডউীন করিলেন । এই সময় ঢাকা হইতে র্তাহার, ও বরিশাল হইতে স্বগীয় বন্ধু দুৰ্গামোহন দাসের কলিকাতাতে আগমন, স্ত্রী-স্বাধীনতার পক্ষে যেন মণিকাঞ্চনের যোগ হইল। ইহার ফল পরে বলিব ।