পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लौअधि SR oʻ9 [ 8ר לסף של গাষ ব্যাকুলাত্মা আমি অতি অল্পই দেখিয়াছি। আমাদের পারিবারিক উপাসনা হইত। তদ্ভিন্ন প্রকাশ ও আমি ধর্ম্মজীবনের গভীর তত্বসকলের আলোচনাতে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর অনেকক্ষণ যাপন করিতাম । ফলতঃ তাহাব সহবাসে আমি ও প্রসন্নময়ী এই সময়ে বিশেষ উপকৃত হইলাম। তদবধি প্রকাশচন্দ্রেৰ সহিত এরূপ গাঢ় বন্ধুতা জন্মিয়াছিল যে, তাহা প,ববর্ত্তী সমাজবিপ্লবেও নষ্ট হয় নাই। এই সময়ে প্রকাশের পত্নী অধোবকামিনী কিছুদিন হরিনাভিতে গিয়া আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তাহাকে দেখিয়াও উপকৃত হইলাম। লক্ষমামণি ।--এই হরিনাভি-বাসকালের আর-একটা ঘটনা উল্লেখযোগ্য। এই সময়ে লক্ষ্মীমণি আমাব আশ্রয়ে আসে। লক্ষ্মীমণি ঢাকা সহবেব একটি পতিত নারীর কন্যা। তাহার মাতা তাহাকে বাল্যকালে একটী বালিকা-বিদ্যালয়ে পড়িতে দিয়াছিল। লক্ষ্মীমণি ঐ স্কুলে একজন খ্রীষ্টীয়ান শিক্ষয়িত্রী ও এক ব্রাহ্ম শিক্ষকের সংশ্রবে। আসে। ইহঁদের সংশ্রবে। আসিয়া, তাহার মাতা যে জীবন যাপন করিতেছিল, তাহাব প্রতি তাহার ঘূণা জন্মে। লক্ষ্মীর বয়ঃক্রম যখন ১৩১৪ হইল, তখন তাহার মাতা তাহাকে নিজ বৃত্তিতে প্রবৃত্ত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল । তাহার জননী প্রথমে প্ররোচনা অনুরোধ প্রভূতি করিয়া অকৃতকার্য্য হইয়া অবশেষে বলপ্রয়োগ করিতে প্রবৃত্ত হইল। একদিন বেচারিকে একটা পুরুষের সঙ্গে এক ঘরে সমস্ত দিন বন্ধ করিয়া রাখিল। আঁচড়, কামড়, হাত পা ছোড়ার দ্বারা যতদূর হয়, লক্ষ্মী সমুদয় করিয়া সমস্ত দিন আত্মরক্ষা করিল। সন্ধ্যার সময় একবার দ্বার খোলা পাইয়া লক্ষ্মী সরিয়া পড়িল এবং একেবারে সেই ব্রাহ্ম শিক্ষকের নিকট গিয়া উপস্থিত । হইল। তিনি তাহাকে লইয়া একটী ব্রাহ্ম পরিবারে রাখিলেন। লক্ষ্মীর মাতা দুই লোকের প্ররোচনায় কন্যালাভের জন্য আদালতে নালিশ উপস্থিত করিল। সৌভাগ্যক্রমে একজন ইংরাজ বিচারকের