পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b”ፃቆ,ፃፃ ] ভাবত-গভীর জন্ম RS সম্পাদক, সুরেন বাবু সহ-সম্পাদক, আমরা কয়েকজনে কমিটির সভা, আমি প্রথম চান্দা আদায়কারী সভ্য, এই লইয়া ভারত-সভা বসিল । আমরা ৯৩নং কলেজ ষ্ট্রীটে একটি ঘর ভাড়া করিয়া ভারত-সভার আপিস স্থাপন করিলাম। সে আপিস-ঘরের অবস্থা দেখিয়া সুপ্রসিদ্ধ সুরসিক কবি ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, তঁহার প্রণীত “ভারত-উদ্ধার” কাব্যে লিখিলেন, “কড়ি আগে পড়ে। কিম্বা দড়ি আগে ছেড়ে ।” বাস্তবিক উহার দশা ঐ প্রকারই ছিল । এই ৯৩নং কলেজ ষ্ট্রীট ভবনের ভিতর দিকে কতকগুলি ব্রাহ্মবন্ধু থাকিতেন, তাহদের সঙ্গে আমি কিছুদিন ছিলাম। তখন ভারত-সভার ঘরে কমিটীৰ সন্মতিক্রমে “সমদৰ্শী” দলেরও বৈঠক চলিত। এখানে থাকিবার সময়ই আমি বিষয়-কর্ম্ম ত্যাগ করিয়া ব্রাহ্মসমাজের সেবাতে আত্মোৎসর্গ করি। যে চিরস্মবাণীয় রাত্রে কেশব বাবুর নিকট প্রতিবাদপত্র প্রেরণের প্রস্তাব নিৰ্দ্ধারণ হয়, সে রাত্রে এই ভারত-সভার গৃহেই আমাদের বৈঠক হইয়াছিল । * বলিতে কি, ভারত-সভা ও সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ যেন যমজ সহােদরের ন্যায় ভূমিষ্ঠ হইয়াছিল। একই লোক দুদিকে, একই ভাবে উভয়ের কার্য্য চলিয়াছিল। ভারত-সভা সংক্রান্ত অবশিষ্ট কথাগুলি বলিয়া ফেলি। শিশিয় বাবু ইণ্ডিয়ান-লীগ নামক স্বতন্ত্র রাজনৈতিক সভা করিলেন ঘটে, কিন্তু তাহার কমিটীতে মনোমোহন ঘোষ ও আনন্দমোহন বসুকেও লাইলেন। অল্পদিনের মধ্যে বুঝিতে পারিলেন ইহান্না কমিটীতে থাকিলে শিশিয় বাবুৱা তাহদের সভাটীকে তঁহাদের মনের মত চালাইতে পারিনেন না । তাই ইহাদিগকে তাড়াইয়ার চেষ্টা হইতে লাগিল। আমি তখন আদায় মাতুল মহাশয়ের সোমপ্রকাশ কাগজ ও প্রেস ভবানীপুরে ঘুলিী جد||43 4 vitrificer of