১৮৭৮ ] সাধাবণ ব্রাহ্মসমাজের নামকবণ ও নাচাব ফল RUS) বরং আমাদেব ভাব এই ছিল যে, আমবাই ন’ বা তবনীয় ব্রাহ্মসমাজের প্রকৃত কার্য্য করিতেছি । সাধাবণ বাহ্মসমাজের নামটা যে কেমন কবিয়া উঠিল। ঠিক মনে নাই। যতদুব স্মবাণ হয়, আমাদেব প্রধান ভাবেব দ্যোতিক বলিয়া, আমাদেব উৎসাঙ্গী বন্ধু পাবলোকগত গোবিন্দচন্দ্র ঘোষ মহাশয় এই নামটােব উল্লেখ কবিয়াছিলেন। গোবিন্দ বাবু ভাবতবৰ্ষীয় বাহ্মসমাজ স্থাপনকর্তাদিগের মধ্যে একজন ছিলেন । এক্ষণে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়া সাধাবণ ব্রাহ্মসমাজের স্থাপন বিষয়ে ও ইহাব প্রথম নিয়মবলী নির্ণয় বিষয়ে অনেক সহায়তা কবিয়াছিলেন । এমন কি, এই সময়ে তাহাব এক পুত্রেব নামকৰণ হইল, তাতার নাম ‘সাধারণচন্দ্র” বাখিলেন। নাম শুনিয়া আমাবাইট হাসিলাম, অপরে হাসিবে তাহাতে আশ্চর্য্য কি ? নামকরণ অনুষ্ঠান হইতে ফিরিবার সময় আমি আনন্দমোহন বাবুব গাডিতে আসিতেছিলাম। “সাধাবণচন্দ্র” নাম লইয়া গাডিতে খুব হাসাহাসি হইতে লাগিল। আনন্দমোহন বাবু বলিলেন, “আমাব ছেলেব নাম দিবার সময়তাব নাম “অনুষ্ঠানপদ্ধতিচন্দ্র’ রাখিব।” नूऊन गाभांअब्र नांभोठे कि श्, नांभो कि छ्, ख्यांननांद्र भाषा কিছুদিন এই আলোচনা করিয়া অবশেষে একদিন কতিপয় বন্ধু মিলিয়া আমরা মহৰ্ষির চরণ দর্শন করিতে গেলাম । তিনি তখন চুচুড়া সহবে। গঙ্গাতীরস্থ এক ভবনে একাকী বাস করিতেছিলেন। তিনি ‘সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ” নামটা শুনিয়া বলিলেন, “বেশ হয়েছে। আমাদের সমাজের নাম ‘আদি’ সমাজ, আমরা কালে আছি। কেশব বাবুর সমাজের নাম “ভারতবর্ষীয় সমাজ, তঁরা দেশে আছেন। তোমরা দেশ-কালের অতীত হইয়া যাও।” সেখান হইতে আমরা নূতন সমাজের নাম সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ রাখা স্থির করিয়া আসিলাম । সেই নামই রাখা হইল।
পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।