পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QSSR শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৪শ পরিঃ লাতে অপেক্ষা করিতেছেন, কারণ তখন টোঙ্গ আবার রোজ • চলিত না আমার পয়সাও ছিল না এবং অপেক্ষা করিবার সময়ও ছিল না ; সুতরাং ঘোড়াতেই যাইতে প্রস্তুত হইলাম। একদিন প্রাতে আনন্দ বাবু এক পাহাড়ে ঘোড়া আনাইয়া আমাকে ঘোড়ায় চড়াইয়া দিলেন । আমি ত হেলিয়া দুলিয়া অগ্রসর হইলাম। “শুকনা” পার হইতে না হইতে পাহাড়ে উঠবার সময় সহিস আমাকে বলিল, ঘোড়াটা মাদী ঘোড়া এবং গাভিন ৷ শুনিয়া আমার মনটা বড় খারাপ হইয়া গেল ; আমি ঘোড়া হইতে নামিয়া সহিসের হাতে লাগাম দিয়া পদব্রজেই পাহাড়ে উঠতে লাগিলাম। যাহাকে পাহাড়ে short cut (সোজা পথ) বলে, সেই সকল সোজা রাস্তা দিয়া উঠিতে লাগিলাম । তাহাতে পথ সোজা হয় বটে, কিন্তু বড় চড়াই উঠিতে হয়, বুকে পিঠে বেদনা লাগে। কি করা যায়, উপায়ান্তর না দেখিয়া মরিয়া কুটিয়া উঠিতে লাগিলাম। এইরূপে, যে খার্সিয়াঙ্গে (Kurseong) ঘোড়ায় চড়িয়া আমাদের অপরাহ্র দুইটা কি তিনটার সময় পৌছিবার কথা, সেখানে” রাত্রি ৮টার সময় গিয়া পৌছিলাম। তখন বার্ড কোম্পানী নামে এই পাহাড়ে এক কোম্পানী ছিল । তঁহার মালপত্র বহিয়া দিতেন। প্রিয়নাথ বসু নামে একটি বাবু খাসিয়াঙ্গে তাহাদের কার্য্যকারক ছিলেন। পুর্ব্বকৃত বন্দোবস্ত অনুসারে আমি গিয়া তাহার গৃহে আশ্রয় লইলাম। তৎপরদিন আমার দাৰ্জিলিং পৌঁছিতেই হইবে। নতুবা শরীর যেরূপ ক্লান্ত হইয়াছিল, তাহাতে দুইদিন বিশ্রাম করিলে ভাল হইত। প্রিয়নাথ বাবু বলিলেন, তিনি পরদিন প্রাতে অশ্বারোহণে দার্জিলিং যাইবেন, আমার জন্যও একটী ঘোড়া আনাইবেন । শুনিয়াই আমার ভয় হইল। তিনি অভয় দিয়া বলিলেন, ভয় নাই, তিনি সঙ্গে থাকিবেন। তৎপরদিন প্রাতে উঠিয়া দেখি, আমার জন্য গোলগাল এক পাহাড়ে টাটু, আলিয়াছে, এবং তঁহায় জন্য বার্তা