পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOSS শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৪শ পরিঃ আর্যসমাজের • সম্পাদক আসিয়া আমার সঙ্গে বেদের অভ্রান্তত বিষয়ে তর্ক উপস্থিত করিলেন। আমি-একটা অভ্রান্ত শাস্ত্র এত প্রয়োজনীয় রলিয়া মনে করেন। কেন ? সম্পাদক-মানবের ধর্ম্মজীবনের স্থায় গুরুতর বিষয়ে কি ভ্রান্তিশীল মানববুদ্ধির উপর নির্ভর করা যায় ?. আমি-বেদের অভ্রান্তত মানিয়াও ভ্রান্তিশীল মানববুদ্ধির হাত এড়াইতে পারিতেছেন না । বেদের অর্থ সায়ণ এক প্রকার করিয়াছেন, দয়ানন্দ সরস্বতী আর-এক প্রকার করিয়াছেন। কে আমাকে বলিয়া দিবে। কোন অর্থ ঈশ্বরের অভিপ্রেত অর্থ ? এখানেও ভ্রান্তিশীল মানব-বুদ্ধিকে বিচারকরূপে দুই ব্যাখ্যাকর্ত্তার উপরে বসাইতে হইতেছে। অভ্রান্ত শাস্ত্র দিলে, অভ্রান্ত টীকাকর্ত্তাও দিতে হইবে, নতুবা দ্রান্তিশীল মানববুদ্ধির হাত এড়ান। যাইবে না । তৎপরে দেখিয়াছি, দয়ানন্দ এদেশে অভ্রান্ত শাস্ত্র বলিয়া পূজিত অনেক অংশ বজ্জন করিয়াছেন, কতকগুলি শাস্ত্র গ্রহণ করিয়াছেন, কতকগুলিকে শাস্ত্র নয় বলিয়া বৰ্জন করিয়াছেন, ইহা কোন প্রমাণে ? তাহাও ত ভ্রান্তিশীল বুদ্ধির বিচারেরই দ্বারা। তবেই, ভ্রান্তিশীল বুদ্ধির হাত হইতে নিস্তার নাই। বিচারটা এই মূল ভিত্তির উপরেই চলিল। সেদিন সন্ধ্যা হইয়া আসিল। পরদিন আবার বিচার হইবে এইরূপ কথা রহিল। ইতিমধ্যে সহরে জনরব প্রচার হইল যে, কলিকাতা হইতে ব্রাহ্মসমাজের প্রচারক আসিয়াছে, অভ্রান্ত শাস্ত্র সম্বন্ধে বিচার চলিতেছে। তৎপর দিন যথাসময়ে পিপীলিকা-শ্রেণীর ন্যায় হিন্দু মুসলমান খ্রীষ্টান সকল শ্রেণীর লোক,

  • “ 한ft DLLDBL B SDiDDES Li EE L BiBBBS EE K JSSDDiELSEL