পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w87 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত | Svo ofe অল্পই করিয়াছি। দেখিলাম, তাহদের অনেকের চক্ষে জলধারা ৰহিতে লাগিল । আমরা মহোৎসাহে কীর্ত্তন করিতে করিতে সমাজঘরে আসিলাম । গ্রামবাসীদের অনেকে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে সমাজমন্দিরে আসিল । তৎপরে জমিদার-বাবুদের ভাব বদলাইয়া গেল। তাহারা আমাদিগকে নিমন্ত্রণ করিয়া খাওয়াইলেন। আমরা ঈশ্বরের করুণার জয় গান করিতে করিতে কলিকাতায় ফিরিলাম। পরে শুনিয়াছি যে জমিদারগণ আমাদের খাওয়া বন্ধ করিতেছেন শুনিয়া গ্রামের নারীগণ দয়া করিয়া গোপনে গোপনে আমাদের খাবার পাঠাইতেছিলেন। সাধে আমি নারীকুলের এত গোড়া ! কেশবচন্দ্রের স্বগারোহণ - ১৮৮৪ সালের প্রথমভাগে ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় স্বৰ্গারোহণ করেন। ইহার কিছুদিন পূর্বে র্তাহার বহুমুত্র রোগ ধরা পড়ে। আমরা ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ ও ব্রহ্মমন্দির হইতে তাড়িত হওয়ার পর তঁহার কাজ অত্যন্ত বাড়িয়া DS SY0S BDBBS LLLLDDD DBDS SBTT DDBD DBBB পরিশ্রম করিতে হয়। তৎপরে আমাদের শ্লেষ, কটুক্তি প্রভৃতিতে র্তাহার মানসিক দুঃখ অতিমাত্রায় বদ্ধিত করে। আমরা চলিয়া আসিবার অল্পদিন পরেই তাহার brain fever হইয়া তিনি বহুদিন শষ্যস্থ থাকেন। তৎপরে যদিও অসাধারণ মানসিক বল ও উৎসাহের প্রভাবে উঠিয়া কার্য্যারম্ভ করেন, তথাপি বার বার পীড়িত হইতে থাকেন। এই সকল শারীরিক ও মানসিক পীড়ার মধ্যে আবার নববিধানের অভু্যুদয় করিয়া তাহার প্রচার ও পুষ্টি সাধনে দেহমনের সমুদয় শক্তি নিয়োগ করেন। অনুভব করি, এই সকল কারণে তাহার বহুমূত্র রোগের সঞ্চার হয়। প্রথমে তাহার নিকটস্থ বন্ধুগণ ঐ রোগের সঞ্চার অনুভব করিতে পারেন নাই। অবশেষে রোগ যখন ধরা পড়িল, তখন সকল সম্প্রদায়ের