পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ২য় পরিঃ গেলাম, “এ কি পাখী ?” নিমগ্নচিত্তে তাহার প্রত্যেক গতিবিধি লক্ষ্য করিতে লাগিলাম। ওদিকে পোলবন্দী সাহেবের হাতী আসিতেছে । মাহুত চেচাইতেছে, পাড়ার লোকেরা। “ওরে অমুকের ছেলে, মলি মলি, পালা পালা” বলিয়া চেচাইতেছে। আমাব সেদিকে খেয়াল নাই ; কানে একটা আওয়াজ আসিতেছে মাত্র, কিন্তু সম্পূর্ণ চেতনা হইতেছে না। ; এমন সময় হঠাৎ দেখি হাতী, শুড় দিয়া আমাকে ধবিবাব চেষ্টা কবিতেছে । মাহুত বোধ হয়। আমাকে সরাইয়া দিতে ইঙ্গিত করিতেছে। হাতাব শুড়ি দেখিয়াই ভয়ে চাৎকাব করিয়া সরিয়া গেলাম। কারণানুসন্ধিৎসা -আমি যে কিছু দেখিলেই এত মনোযোগী হাইতাম, তাহার কারণ বোধ হয় এই যে, শৈশব হইতেই আমাৰ কাবণানুসন্ধিৎসা বড় প্রবল ছিল। মায়েব মুখে শুনিয়াছি যে, আমি দাড়াইতে ও কথা কহিতে শিখিলেই সকল বিষয়ে কেন কেন বলিয়া তাহাকে অস্থির করিয়া তুলিতাম। যথা, তাহাব কোলে চড়িয়া আব-এক পাড়ায় নিমন্ত্রণে যাইতেছি, হঠাৎ পথে একটি নূতন গরু দেখিলাম। অমনি প্রশ্ন-ও কাদের গরু ? উত্তর-পুটেদেব গরু। প্রশ্ন---এখানে কেন বেখে গেছে ? উত্তর-ঘাস খাবে বলে। প্রশ্ন-কোন ঘাস খাবে ? উত্তর-ক্ষিদে পেয়েছে বলে। প্রশ্ন-কোেন ক্ষিদে পেয়েছে ? উত্তব-সমস্ত রাত কিছু থায়নি বন্ধে । প্রশ্ন-কেন খায়নি ? উত্তর-ওরা রাত্রে গরুকে জাবনা দেয় না বলে। প্রশ্ন-কেন রাত্রে জাবনা দেয়না ? উত্তর-ওরা গরীব বলে। প্রশ্ন- গৰীব কাকে বলে ? ইত্যাদি। সময়ে সময়ে এই কেন’র মাত্রা এত অধিক হইত। যে উত্তরের পরিবর্তে চপেটাঘাত পাইতাম । এই কারণানুসন্ধান-প্রবৃত্তি হইতেই বোধ হয়, পীপড়ে ও পাখীর গতিবিধি এত লক্ষ্য করিতাম। বিড়ালছানা পোষা -কেবল যে পুখী ভালবাসিতাম, তাহা নহে, অন্যান্য জন্তুও পুষিতাম। বিড়ালছানা আনিয়া উন্মাদিনীকে দিতাম, সে পুষিত। অনেক সময়ে আমাদের উভয়ের অতিরিক্ত প্রেমবশতঃ তাহাদের