পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»v>->Doo] জ্যেষ্ঠা কন্যা হেমলতার বিবাহ 8) স্থাপিত হইল। আমি আমার আপিস তাহাতে স্থাপন করিয়া আচার্য্যের কার্য্য করিতে লাগিলাম। প্রতি সপ্তাহে লিখিয়া উপদেশ দিতাম, এবং সেই উপদেশ। পরে ক্ষুদ্র পুস্তিকার আকারে মুদ্রিত হইত। সেই উপদেশগুলি পুস্তকাকারে সংগৃহীত হইয়া “ধর্ম্মজীবন” নামে মুদ্রিত হইয়াছে। এই গ্রন্থখানিকে আমার আধ্যাত্মিক চিন্তা ও ধর্ম্মজীবনের পবিণ্যত ফল বলিলে হয় । কিছুদিন পরে শারীরিক অস্বাস্থ্যের জন্য আমাকে দায়ী আচার্যের কাজ ত্যাগ করিয়া নানাস্থানে যাইতে হয়। উপাসকমণ্ডলীর কাজ আবার পূর্ব্ববৎ দাড়াইয়াছে। সেটা একটা দুঃখের বিষয়। ইহার পরে এই সময়ের মধ্যে আর নূতন কাজে হাত দিই নাই। কয়েক বৎসর ধরিয়া সাধনাশ্রমের কাজ ও উপাসকমণ্ডলীর আচার্য্যের কাজ, এই দুই কাজই প্রধান কাজ থাকিয়াছে। ১৮৯৮ সালে শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য চন্দননগরে গঙ্গাতীরবর্তী একটী বাড়ীতে গিয়া থাকি। সেখান হইতে রবিবার কলিকাতায় আসিয়া মন্দিরে আচার্য্যের কার্য্য করিতাম, এবং সমাজের অন্যান্য কাজে সাহায্য করিতাম। ১৮৯৯ সালের শেষে কলিকাতায় ফিরিয়া আসি । গ্রন্থ রচনা।-এই কালের অপর উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে আর একটী এই। এই সময়ের মধ্যে আমার মন্দিরের উপদেশ “ধর্ম্মজীবনা” ব্যতীত, “যুগান্তর” ও “নয়নতারা” নামে দুইখানি উপন্যাস, ও “মাঘোৎসবের উপদেশ, ও বক্তৃতা প্রভৃতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। তম্ভিৱ “রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ” নামে একখানি গ্রন্থ, এবং আমার রচিত প্রবন্ধসকল সংগ্রহ কৰিয়া “প্রবন্ধাবলী” নামে এক গ্রন্থ भूजिरु कब्रि জ্যেষ্ঠ কন্যা হেমলতার বিৰাহ -এই কালের মধ্যে ১৮৯৩ সালে আমার জ্যেষ্ঠা কন্যা হেমলতার বিবাহ হয়। ডাক্তণর বিপিনবিহাৰী