পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ケ8 শিবনাথ শাস্ত্রীব আত্মচাবিত [ ৪র্থ পবিঃ নবান ঠাকুর -একদিন আমাব স্কুল বন্ধ। সেদিন আমি বাড়ীতে আছি। বঁধুনী বামুন নবীন ঠাকুব আসিয়া আমাকে বলিল, “ভট্টবাবু, আমাদেব আব্ব একটু তামাক দিন।” আমি প্রথমে বলিলাম, “যা তামাক দিবাব কথা কাগজে লেখা আছে, তা তো দিযেছি , আবাব কেন চাও ?” পবে ভাবিলাম, একটু তামাক বই তো নয়, দিয়া আসি। ভবিষা তামাক দিতে গেলাম। ভাড়াব খুলিষা তামাক দিতেছি, এমন সমস নবীন ঠাকুব আমাকে বলিল, “ভাটবাবু, আমাদেব সঙ্গে লাগলে এখানে টিকতে পার্ব্বেন না।” বঁধুনী বামুনেব কথা শুনিষ আমাৰ মনে হইল, ভাডাবোৰ চাবি আমাব জাতে না পাখাই ভাল , চাকবি বাকব আমাকে অন্নাশ্রিত জানিয, তেমন খাতিব ক’ব না , পদে পদে তাহাদেব সঙ্গে বিবাদেব সম্ভাবনা । এই ভাবিয পবাদন চাবিটা তাহাদিগকে ফিবাইযা দিলাম। প্রকৃত কাবণটা আব্ব কাহাকেও বলিলাম না, কেবলমাত্র মহেশচন্দ্র চৌধুবীব খুল্লতাত-পুত্র শ্রীশচন্দ্র চৌধুবাকে বলিষাছিলাম , কিন্তু তঁহাকে গোপন বাখিতে অনুবোধ কবিযাছিলাম। আমি যখন চাবি ফিবাইযা দিতে গেলাম, তখন কর্ত্তাদেব মধ্যে একজন বলিলেন, “কেন ফিবিযে দিচ্চ ? তোমাৰ উপব আমাদেব পূর্ণ বিশ্বাস, তোমাব উপব এ ভাব থাকলে আমবা নিশ্চিন্ত থাকি।” এই কথা যখন উঠিল, তখন শ্রীশ আসিয়া তাহদের নিকট সমুদয কথা ব্যক্ত কবিলেন। ইহা লইয়া তঁহাদেব মধ্যে কথাবার্তা উঠিল, তাহা শুনিতে শুনিতে আমি পাইখানা অভিমুখে চলিলাম ; যাইবাব সময় দেখিয়া গেলাম বড়দা ( অর্থাৎ মহেশচন্দ্র চৌধুবা মহাশয়) বাবাণ্ডাব একধাৰে বসিয়া স্নানেব পূর্ব্বে দাঁতন কবিতেছেন। এদিকে আমি পাইখানাতে গিয়া প্রবেশ কবিতে না কবিতেই চাকব গিয়া বলিল, “ভট্টবাবু, শীঘ আসুন, শীঘ্র আসুন ; ভয়ানক কাণ্ড বেধেছে ; বড়বাবু (মহেশবাবু) আপনাকে ডাকছেন।” আমি পাইখানাব দ্বাব হইতে ফিবিয়া গেলাম। গিয়া দেখি, বড়দা বান্নাঘবেব