পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eR ཅན་སྨན་ རྒྱ་ གཙང་རྒྱ་ DB SLBDu DD DBB ut LBDD SBDBS D DB DBD BBD করেছি। এবার ইচ্ছা হয়েছে,-বলেই ফেলি না। দু-একটা কথা । কিন্তু কথা বলতে পারবো, তার পারস্পর্থ রক্ষা করতে পারব না ; ধারাবাহিক ভাবে সময়ের হিসাব করে পর-পর কিছুই বলতে পারবো না। যখন ধার কথা মনে হবে, তাঁরই সম্বন্ধে দু’চারটি কথা বলতে চেষ্টা করব। সুতরাং সকলের আগে আমার মনে হচ্ছে-আমি কবিবর দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কথা বলি । আজ তেইশ বৎসর তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘ভারতবর্ষের’র সেবা করে আসছি। তিনি তার “ভারতবর্ষ’ দেখে যেতে পারেন নি,-সে। দুঃখ আমার মর্মাস্তিক হয়ে আছে। তারই শূন্য আসন, নিতান্ত অযোগ্য হয়েও, আমি এতদিন অধিকার করে আছি। -সেই জন্য তারই স্মৃতি-তৰ্পণ প্রথমেই করি । যে সময়ের কথা ৰলছি, তাকে সেকালও বলা যায়, কারণ সে হচ্ছে ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দের কথা। এতকাল পরে সে সময়ের কথা বলতে গেলে, সাল, মাস, তারিখ, কিছুই ঠিক রাখতে পারিনে, সব গোল পাকিয়ে যায় ; কিন্তু এ সালটা। মনে আছে, কারণ এইবার আমি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিই। আমিও পরীক্ষা দিই, কবিবর দ্বিজেন্দ্রলালও সেইবারই পরীক্ষা দেন। আমি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। আমাদের গ্রামের স্কুল থেকে, আর দ্বিজেন্দ্রলাল পরীক্ষা দিয়েছিলেন কৃষ্ণনগর থেকে-সেইখানেই তাদের বাড়ী। সেই পরীক্ষা উপলক্ষেই দ্বিজেন্দ্রলালের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় । সে সময় পূজার কিছু পূর্বে বা পরে আমাদের পরীক্ষা হয়েছিল। এখনকার মত বৈশাখ মাসের খরা-রৌদ্রের মধ্যে নয়। তখন শীতও পড়েনি, গ্রীষ্মও তেমন প্রথর নয়। এইখানে, সেই সময়ে আমার অবস্থা কেমন ছিল, সে কথাটা না। বললে চলছে না। সে সময় আমাদের পরীক্ষায় কেন্দ্র ছিল কৃষ্ণনগর। এখন যেমন একই স্কুলের দশটি ছেলের মধ্যে যার যেখানে খুন্সী সেই কেন্দ্রেই পরীক্ষা দিতে পারে, আমাদের সময়ে সে নিয়ম ছিল না । বিশেষত আমাদের বাড়ী কৃষ্ণনগর জেলায়-আমাদের কৃষ্ণনগয়েই পরীক্ষা দিতে হোতো । এখন যেমন রাণাঘাট থেকেঁ কৃষ্ণনগর পর্যন্ত রেল হয়েছে, ১৮৭৮ খ্রীঃ অন্ধে তার কল্পনাও কেউ করেনি। আমাদের বাষ্ঠী থেকে কৃষ্ণনগর যেতে হলে বগুলো টেশনে নামতে হোতো । সেখান থেকে মাইল দুই আড়াই গিয়ে হালখালীতে