পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X 8ቆ9 আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। হিমালয়ের বক্ষ ডেরাডুনের ক্ষুদ্র এক পল্লীতে এতগুলি “কালী’র সমাবেশ আমার কাছে আশ্চর্য ঠেকেছিল । সর্বপ্রথম নাম করতে হয়-কালীমোহন ঘোষ মহাশয়ের। ইনি জি টি সার্ভে অফিসের প্রধান কমপিউটার ছিলেন এবং আমি যতদূর জানি, গণিতে অত বড বিশেষজ্ঞ সেই সময়ে বাঙ্গালীর মধ্যে কেহ ছিলেন না । পারি তো তঁর কথা अन्9 मatभू दब्जय | দ্বিতীয় “কালী”-কালীকুমার চট্টোপাধ্যায়। ইনি কালীমোহনবাবুব সহকারী ছিলেন। আর এক “কালী”-কালীকান্ত কর। ইনি। ফবেষ্ট অফিসেব “বডবাবু” ছিলেন। আর “কালী”—আমার মাষ্টারজী-কালীকান্ত সেন । পঞ্চম “কালী” ছিলেন কালীপদবাবু। ইনি খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী ছিলেন। এই পাঁচ “কালী”তেই পর্যাপ্ত হয় নি-সেই সময়ে যিনি বৎসরে ছয় মাসেব অধিক ডেরাডুনে থাকতেন-তিনি কলিকাতার প্রথিত নামা কালীকৃষ্ণ ঠাকুর মহাশয় । এছাড়া আরও অনেকে ছিলেন, তাদেব নাম করতে গেলে তালিকা বিস্তৃত হয়ে পড়ে। তার মধ্যে দুইটি নাম বিশেষভাবে আমার মনে পড়ছে- শশিভূষণ সোম মহাশয় ও রায় সাহেব ঈশানচন্দ্র দেব। সেই সময়ের একজন মাত্র এখনও বেঁচে আছেন । তিনি আমার পরম বন্ধু শ্রীযুক্ত বিমলাচরণ সোম। আমাদের সময়ের তিনিই এখন বেঁচে আছেন এবং তিনি সেখানকারই অধিবাসী হয়েছেন। এখন ডেরাডুনে যারা বেড়াতে যান বন্ধুবর বিমলাচরণ তঁদের যথাযোগ্য অভ্যর্থনা ও সাহায্য করেন । ও কথায় আর কােজ নেই। আমি মাষ্ট্রারজীর স্কুলে পড়াই, খাই-দাই থাকি । প্রায় শনিবারেই অপরাহ্ন দু’টার সময় স্কুল থেকে ফিরে এসে জুতা, পায়জামা, লম্বা কোট এবং প্রকাণ্ড পাগড়ী-আমাদের বিশ্বন্ত ভৃত্য দেবানন্দের জিম্ম করে দিয়ে একখানি কম্বল ও লাঠি নিয়ে মাষ্টারাজীকে নমস্কার করে মহানন্দে বেরিয়ে পড়তাম। দুই তিন দিন বন জঙ্গলে ঘুরে আবার ফিরে এসে পাগড়ী মাথায় দিয়ে ছেলেদের মাথার ভেতর সাইমালটেনিয়াস ইকোয়েশন ঢোকাতে আরম্ভ করতাম । DiDD BB BEE DiDDD DBDB gg SDDD DDDD BBB D DBDBD DDB নিয়ে নগ্নপদে বেরিয়ে পড়ি । সে দিন আমার লক্ষ্যস্থান ছিল-- হৃষীকেশ । অর্থাৎ, জলধরের সময়ে --সাম্পাদক ।