পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ཅནi་ཅ༽ e fརྒྱ-vརྒྱ། সরস্বতী পূজার দিন জোড়ার্সাকো শ্যাম মল্লিকের বাড়ী আমার পিসতুতো ভাইয়ের নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে অনেক গানবাজনা, আমোদপ্রমোদ হ’বে। ব’লে দাদা সন্ধ্যার সময়ে আমায় সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। শ্যাম মল্লিকের বাড়ী গিয়ে দেখি সব নিস্তব্ধ, পূজা-প্রাঙ্গনে অল্প কয়েকটী আলো জলছে! তখন জানতে পারা গেল, আন্দামানে বড়লাট সাহেব খুন হয়েছেন, তাইতে সহরের সরস্বতীপূজার আমোদ, আনন্দ, সমারোহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি ছেলেমানুষ, সবে কলকাতায় এসেছি, সাতপুকুরের বিখ্যাত বাগানের মালিক শু্যাম মল্লিকের বাড়ী কত নাচ গান দেখব শুনিব, সে সব কিছুই হ’ল না সেই নৈরাশ্যের কথাটা এই বুড়ে বয়েস পর্য্যন্ত আমার মনে আছে। তখনকার কলকাতার কথাও একটু বলি। তখন গঙ্গার ধারে রাস্তা হয়নি, হাবড়ার পোল তখন তৈরী হচ্ছে । সহরের আলিগলিতে তখন শিয়াল ডাকত। মিউনিসিপ্যালিটীর এমন সুবন্দোবস্ত ছিল না । ঘোড়ার গাড়ী আর পান্ধী ছাড়া যানবাহনের কোন ব্যবস্থাই ছিল না । জলের কল তখন সবে হয়েছে, কি হব-হব হয়েছে, ঠিক আমার মনে নেই। ব্রাহ্মসমাজের কেশব সেন অগ্র-পশ্চাৎ সেই সময়েই বোধহয় বিলেত থেকে ফিরে এসেচেন । মেছোবাজারে ভারতবর্ষীয় ব্রহ্মমন্দির স্থাপিত হয়েচে । একথাটি বলচি এই জন্য যে, আমার সেই পিসতুতো ভাই কেশব সেনের চেলা হয়েছিলেন। র্তার, সঙ্গে আমিও ভারতবর্ষীয় ব্রহ্মমন্দিরে প্রতি রবিবারে যেতাম। কেশববাবু, বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, অঘোরবাবু, গৌরগোবিন্দবাবু ও আরও বড় বড় ব্রাহ্ম আমাকে ভাল বাসতেন। দাদার সঙ্গে আমি আদি ব্রাহ্ম-সমাজেও গিয়েছি । একদিন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ও গায়ক বিষ্ণুবাবুর সম্মুখে আমি পড়েছিলুম। দাদা আমাকে তঁর ছোট ভাই বলে’ পরিচয় করে” দিলে, আমি তাদের দু’জনকেই প্রণাম করেছিলুম। মহর্ষি আমার মাথায় হাত দিয়ে আশীৰ্বাদ করেছিলেন।. সে আশীর্বাদের কথা আমি এখনও ভুলিনি। সে কথা থাক, যে জন্য কলঙ্কাতায় এসেছিলুম, সেই কথাটাই বলেনি। সেটা আমার চোখের চিকিৎসার কথা । চোরবাগানের পরলোকগত । লালমাধব মুখোপাধ্যায় সে সময়ে কলকাতায় একজন বেশ বড় চিকিৎসক ছিলেন। চক্ষুরোগের চিকিৎসায় । তার বেশ সুর্যশ ছিল। প্রথম মাসখানেক তিনিই চিকিৎসা করলেন । কোনই সুফল হ’ল না। আমি যেমন অস্ক তেমনই থাকলাম। তখন কলিকাতায় চক্ষু রোগের সর্বপ্রধান চিকিৎসক