পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণ SS আরও দুই চার জনের সঙ্গে কথা বলে চলে গেলেন। অর্থাৎ এখন কিছুদিন আমাকে বঙ্গবাসীর ফাইল উলটাতে হবে। তঁদের লিখবার ঢং শিখতে হবে । তঁদের বলবার ভঙ্গী আয়ত্ত করতে হবে এবং আরও নানা বিষয় শিখতে হবে। আমি তখন সতের আঠারো বছরের যুবক নই, আমার বয়স তখন ত্রিশ পেরিয়ে গিয়েছে। একটু আধটু লিখতেও পারি বলে মনে গর্বের সঞ্চারও হয়েছে । এমন অবস্থায় যদি বাংলা সংবাদপত্রের অ, আ, ক, খএমন করে শিখতে হয় তা হলে মনটা একটু দমে যায় কি না তা সকলেই বিচার করতে পারেন । কিন্তু উপায় ছিল না । ত্রিশ টাকা বেতনে নিজেকে শিক্ষানবিশীতে ভতি করে, আমার যা একটু দর ছিল, তাও কমিয়ে ফেলেছি। এখন মন ভার করলে চলবে কেন ? তখন মনে মনে আবৃত্তি করলাম-যথা নিযুক্তোহস্মি তথা করোমি । বঙ্গবাসীর লেখক হতে গেলে যে আমাকে বড়দিন তপস্যা করতে হবে, তা আমি প্রথম দিনে অসংখ্য সাহিত্যরার্থী দেখেই এবং আরও অনেকের নাম শুনেই বুঝতে পেরেছিলাম। সত্য কথা বলতে কি, ওদের কারো সম্মুখে কলম ধরবার সাহস বা স্পর্ধা। আমার ছিল না । কাষেই আপিসে যাই, বঙ্গবাসীর পুরাতন ফাইল নাড়াচাড়া করি। পড়তে বড় একটা ইচ্ছাও করে DS DS DDD BDSS BBD Be BBB DuS DDD S রঙ্গমঞ্চের ভাষায় বলতে গেলে- তখন বঙ্গবাসীতে হৈ হৈ কাণ্ড, রৈ রৈ ব্যাপার। যোগেন্দ্র বসু এবং তঁর সহযোগী ও সহায়কগণ বঙ্গবাসীর ধর্মীভবন প্রতিষ্ঠার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। অন্যান্য বিভাগের কর্মচারীরা তো আছেনই, সম্পাদকীয় বিভাগের পাঁচকড়িবাবু, হারাণবাবু, দুর্গাদাসবাবু প্রভৃতি সকলে ধর্মীভবন প্রতিষ্ঠার জন্য একেবারে উন্মত্ত। তঁরা আপিসে ঘণ্টাখানেকের বেশী কেউই বসেন না। সহরে ও সহরের উপকণ্ঠবাসী সঙ্গতিপন্ন ভদ্রলোকদিগের কাছ থেকে ধৰ্মভবনের জন্য চাঁদা আদায়েই তারা ব্যস্ত। যোগেন্দ্র বসু নিজে কোথাও যেতে পারতেন না। তঁহার সেই স্কুল দেহে ঘোরাফেরা করা এক-রকম অসম্ভব ছিল। কিন্তু তিনি ঘরে বসেই যা করতেন, তাতেই তঁর উদ্দেশ্য সিদ্ধির পথে অগ্রসর হত । সে সময়ে যারা ‘বঙ্গবাসী” পড়েছেন এবং ধারা এখনও পুরাতন “বঙ্গবাসী’র ফাইল উলটিয়ে পড়বেন, র্তারা দেখতে পাবেন যোগেন্দ্রবাবুর লিখিত প্রবন্ধগুলি সে সময় সত্যসত্যই