পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R उत्राकृथौदनौ ४e न्यूडि-उ*q উকিল ছিলেন । তিনি দক্ষিণারঞ্জনকে ফরিদপুরে পড়তে পাটালেন। দক্ষিণ ফরিদপুরে একটি মেসে বাস স্থির করলেন আর আমাকে লিখলেন যে, তার বাবা মাসিক তার খবচেব জানো ২৫ টাকা দিবেন ও আমার ৫ টাকা, এই ২০ টাকায় আমাদের দুই বন্ধুরই ফরিদপুরের পড়াল খরচ চলে যাবে। দক্ষিণােবঞ্জনের সেই সাহায্য ও বন্ধুত্বের কথা আমি এই বৃদ্ধ বয়সেখান ভুলতে পারিনি। অযাচিতভাবে মোহিনীবাবুৰ গলগ্রত হওয়াব চেয়ে বন্ধু দক্ষিণারঞ্জনেব সাঙ্গ যা লওয়াই আমি শ্রেয়ঃ মনে করেছিলাম । ফরিদপুরে গিয়ে দক্ষিণারঞ্জনের সেই মেসে উপস্থিত প্রয়ে দেখলুম, সেটা মেস নয়, ফবিন্দপুলের কালেক্টরীর এক কেরাণীর বাসা ; তিনি কেরাণীগিরিও করেন। আবার বাসার যে ঘরখানি রাস্তার দিকে, তাতে একটা মদের দোকানও খুলেছেন । পিছন দিকের তিনখানি ঘরে জনকয়েক ছাত্র আর কয়েকটি অফিসেব কেরাণী নিয়ে বাসা বেঁধেছেন । বাসাটা এমন স্থানে যে, সে কথা মনে করলে এখনও হৃদিকম্প হয় । বাসার পেছনেই বড় বেশ্যাপল্পী । একদিকে বেশ্যাপল্পী আর বামহাতেই মদের দোকান, আমার তো দেখেই চক্ষুস্থির । যখন সেখানে উপস্থিত হয়েছি, তখন হঠাৎ চলেও যেতে পারলুম না । সেখানেই রয়ে গেলুম, আর গভর্ণমেণ্ট স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্ত্তি হলুম। তখন কালিদাস রায় মহাশয় ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক। দ্বিতীয় শিক্ষকের নাম আমার মনে নেই, তৃতীয় শিক্ষ) ক ছিলেন নরেন্দ্রদেব বায় । কোন রকমে দিন পনের সেই নককে বাস করে আমি অনিষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। মাতাল আর বেশ্যার গোলমাল অসহ্য হয়ে উঠেছিল। অন্য কোন উপায় না পেয়ে একদিন মোহিনীবাবুর সঙ্গে দেগা করতে গেলাম। তিনি প্রথমে আমাকে চিনতে পারলেন না । কিন্তু যখন আমার পরিচয় দিলুম, তিনি উঠে এসে আমাকে একেবারে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন—“তুমি দ্বারীর ভাই, ফরিদপুরে এসেছি কেন ? আমি তখন আমার সমস্ত অবস্থা।” তাকে বললুম। তিনি হা ইঠা করে উঠলেন—“আরো সর্ব্বনাশ, বেশ্যাপাড়ার মধ্যে মদের দোকানে বাসা নিয়েচ ! যাও, এখনি জিনিষপত্র নিয়ে এখানে চলে এস।” আমি বললুম, “এমাসের কাঁটা দিন গেলে হয় না ?” তিনি হেসে বললেন—“ও: বুঝেছি, বাষ্ঠী থেকে টাকা না এলে বুঝি তাদের মেন্সের খরচ মিটিয়ে দিতে পারবে না বলে আসতে চােচ্ছ না ? পিনের দিন ত সেখানে আছ, বড় বেশী হয় তো তাদের ৪৫ টাকা পাওনা হয়েচে।” এই কথা বলে তিনি