পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s वांद्घाौवर्नौ e ‘डि-ड*१ পাঠিয়ে, তাকে কলকাতায় রেখে বিলাতী কাপড়ের কারবার আরম্ভ করবেন। কিন্তু এই বিপদসংস্কুল পথে জীবন হাতে করে” কলকাতায় আসতে কেউ রাজি হয়। না । আমার বাবা পাঠশালায় লেখাপড়া শিখলেও, কায়েতের ছেলে ত বটে ; শরীরেও তার অসাধারণ শক্তি ছিল, বিপদ-আপদও তিনি বড় একটা গ্রাহ্য করতেন না। তিনি তঁর মনিবকে বললেন, “আপনি যদি আমাকে উপযুক্ত মনে করেন, আমি কলকাতায় যেতে রাজি আছি ।” প্রামাণিক মহাশয় প্রথম একটু ইতস্তত: করেছিলেন ; কায়েতের ছেলে ব্যবসা বোঝে না, তারা কেরাণীগিরি, গোমস্তাগিরির উপযুক্ত, জমা খরচই তারা লিখতে পারে। তাই আমার বাবাকে পাঠাতে প্রথমতঃ ইতস্ততঃ বোধ হয়েছিল। শেষে আর লোক না পেয়ে তিনি বাবাকেই কলকাতা পাঠান স্থির করলেন । বেতন স্থির হ’ল ১৮১ টাকা বছরে । ত’ ছাড়া যাতায়াতের খরচ পাবেন, আর কলকাতায় যা বাসা খরচ লাগবে, তা’ সরকার থেকে দেওয়া হবে । এই ব্যবস্থা যখন ঠিক হয়ে গেল, তখন আমার জেঠাইমার মুখে শুনেছি, আমাদের বাড়ীতে কান্নাকাটি পড়ে গেল। বাড়ীর কর্তা জেঠা মহাশয় তখন বিদেশেগালিমপুরে। বাড়ীতে বাবার ওপর কথা বলার লোক কেউ ছিল না। আমার মা, জেঠাইমা বা পিসীমা, এদের কারও এমন সাহস ছিল না যে বাবাকে নিষেধ করেন । কাজেই বাবা যা” স্থির করলেন, তাই হ’ল। শুনেছি, বাবার কলকাতা যাত্রার দিন স্থির হ'লে, তার পূর্বের ক'দিন তিনি আর বাড়ীতে এখেতে পান নি। আত্মীয়স্বজনের বাড়ীতে বিদায়ভোজ খেয়ে বেড়াতে হয়েছিল। তারপর তার যাত্রার দিন যেদিন উপস্থিত হ’ল, সেদিন সকলকে চোখের জলে ভাসিয়ে তিনি কলকাতায় যাত্রা করলেন । বাবার ভ্রমণকাহিনী পারি। ত আর এক সময়ে সুবিধা মত ব’লব। এখন আমাদের বাড়ীর আর সকলের পরিচয় দি । আমার বাবার এক ভগিনী ছিলেন, তঁর বিবাহ হয়েছিল যশোর জেলার বহির্গাছি । তিনি দুটী ছেলে নিয়ে যখন বিধবা হলেন, তখন আমার জেঠা মহাশয় তাকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে এলেন। তারপরে পিসীমা আর কখনও শ্বশুরবাড়ী যান নি, জীবনান্ত পর্য্যন্ত আমাদের বাড়ীর কত্রী হয়ে বাস করেছিলেন । তার দুটি ছেলের নাম বন্ধুবিহারী ব্রহ্ম ও রাসবিহারী ব্রহ্ম। তঁরাই আমাদের বড় দুই ভাই। তারপরে আমার জেঠা মহাশয়ের দুই ছেলে আর এক মেয়ে। মেয়েটি সর্ব-জ্যেষ্ঠা ছিলেন, DBD DDDBDB DDS DBBB BB DDS DBBDBDBS DBB BDBD মায়েরও বড়। জেঠ তুত ভাই দুটির নাম দ্বারকানাথ সেন ও কৃষ্ণনাথ সেন। পিসতুত ভায়েরা আমাদের একান্নভুক্ত হলেও এবং সকলের বড় হলেও, দ্বারকানাথই আমাদের বড়দাদা, আর কৃষ্ণনাথই আমাদের মেজদাদা। কাজেই আমি বাড়ীর সেজবাবু। আমার ছোট আর একটি ভাই ছিল, তার নাম শশধর সেন।