পাতা:আত্মপরিচয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রবীন্দ্রনাথের পঞ্চাশত্তম বর্ষ পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে ‘দেশের প্রতিভূস্বরূপ’ বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ ১৩১৮ সালের ১৪ মাঘ কলিকাতা টাউনহলে কবিসংবর্ধনা করেন। এই অনুষ্ঠানের অনুষঙ্গরূপে বঙ্গীয়-সাহিত্যপরিষৎ মন্দিরে একটি আনন্দসম্মিলন (২০ মাঘ ১৩১৮) অনুষ্ঠিত হইয়াছিল, এই গ্রন্থের দ্বিতীয় প্রবন্ধটি সেখানে পঠিত হয়। প্রবন্ধটি ভারতী পত্রিকায় (ফাল্গুন ১৩১৮) ‘অভিভাষণ’ নামে প্রকাশিত হইয়াছিল।

 রবীন্দ্রনাথের ধর্মমতের কোনো একটি সমালোচনার[১] উত্তরে এই গ্রন্থের তৃতীয় প্রবন্ধটি লিখিত হয়। রচনাটি ‘আমার ধর্ম’ নামে সবুজ পত্রে (আশ্বিন-কার্তিক ১৩২৪) প্রকাশিত হইয়াছিল। এই প্রবন্ধে[২] রবীন্দ্রনাথের ধর্মসংগীতের অন্য যে একটি সমালোচনার উল্লেখ আছে, তাহা বিপিনচন্দ্র পাল -কর্তৃক লিখিত[৩]

 সপ্ততিতম জন্মোৎসবে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের অভিভাষণের কবিকর্তৃক সংশোধিত অনুলিপি এই গ্রন্থের চতুর্থ প্রবন্ধরূপে মুদ্রিত হইল। এই অভিভাষণ প্রবাসীতে (জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮) প্রকাশিত হইয়াছিল।

 সপ্ততিবর্ষপূর্তি উপলক্ষে কলিকাতা টাউন-হলে যে রবীন্দ্রজয়ন্তী (১১ পৌষ ১৩৩৮) অনুষ্ঠিত হয় সেই উৎসবে পাঠ করিবার জন্য এই গ্রন্থের পঞ্চম প্রবন্ধটি লিখিত হইয়াছিল। এবং ‘প্রতিভাষণ’ নামে পুস্তিকাকারে মুদ্রিত হইয়াছিল। রচনাটি দীর্ঘ বলিয়া তথায় পঠিত


১২৩

  1. ‘ধর্ম প্রচারে রবীন্দ্রনাথ’, প্রবর্তক, দ্বিতীয় বর্ষ, নবম সংখ্যা; পুনর্মুদ্রণ— নারায়ণ, আষাঢ় ১৩২৪। এই প্রসঙ্গে দ্রষ্টব্য, ‘ধর্ম প্রচারে রবীন্দ্রনাথ’, প্রবর্তক, দ্বিতীয় বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা; এবং রবীন্দ্রনাথের ‘আমার ধর্ম’ প্রবন্ধের প্রত্যুত্তরে লিখিত ‘রবীন্দ্রনাথের ধর্ম’, প্রবর্তক, দ্বিতীয় বর্ষ, দ্বাবিংশ সংখ্যা।
  2. পৃ ৪০
  3. ‘রবীন্দ্রনাথের ব্রহ্মসংগীত’, বিজয়া, ১৩২০