করিয়া আসিয়া শ্যামবাজার গোপীমোহন দত্তের লেন, একটা ইষ্টক নির্ম্মিত দ্বিতল গৃহের দ্বার দেশে খামিল।
গৃহের ভিতর কেবল ৩টী মাত্র স্ত্রীলোক, অদ্য ১৮ দিবস হইল এখানে আসিয়াছে; কোথা হইতে আসিয়াছে, কি অভিপ্রায়ে আসিয়াছে, —তাহারা কে, এবং কত দিবসইবা এখানে থাকিবে—কেহই জানে না। ইহাদিগের মধ্যে একটা বালিকা, বয়ঃক্রম ১৩ বৎসর, ইহার মুখশ্রী অতীব রমণীয়, দাঁতগুলি যেন বিধাতাপুরুষ আপনার হাতে বাছিয়া বাছিয়া দুই শ্রেণীতে মুক্ত-শ্রেণী বসাইয়া রাখিয়াছেন; ইহার সুনীল আয়ত চক্ষুদ্বয় সেই মনোহর মুখখানির মধ্যে যেন আল্গা বসাইয়া দিয়াছেন, যেন সরোবরে দুইটি নীল পদ্ম ভাসিতেছে। দৃষ্টির চাঞ্চল্য নাইদেখিয়া বোধ হয় যেন, এই চোক্ আর কিছুই দেখিতে চায় না, অথবা দেখিয়া ত্যক্ত বিরক্ত হইয়াছে, আর দেখিতে সাধ করে না! চক্ষু সততই টল্ টল্ করিতেছে বোধ হয় যেন জল পড়িতেছে—কিন্তু পড়ে না। বালিকার মুখখানি দেখিবামাত্রই বোধ হয় যে ইহাকে দু:খে এবং গাম্ভীর্য্যে ঢাকিয়া রাখিয়াছে। মাথার কেশগুচ্ছ মৃত্তিকাস্পর্শ করিয়া ধরণীকে চুম্বন করতেছে। যিনিই এই বালিকাকে দেখিয়া-