উহার হস্ত ধারণ করিলেন। যমদূতের হস্ত ছড়াইয়া লয় কাহার সাধ্য? বিশেষ স্ত্রীলোক। উহার মুখের গ্রাস মুখেই রহিল—হস্তের অন্ন পড়িয়া গেল। চীৎকার করিয়া দিয়া উঠিল। উহার কে, কোথা হইতে আসিল—হঠাৎ কেনইবা তাহাকে একজন অপরিচিত, বিশেষ বিদেশীয় ইংরাজ আসিয়া হস্তধারণ করল, তাহা কিছুই করিতে পারিল না। স্ত্রীলোকের সম্বল রোদন— তখন তিনকড়ি তাহারই আশ্রয় লইল। আহ্লাদী ও হরিদাসী আসিয়া উহাতে যোণ দিন। কিন্তু উহাদের ক্রন্দন কে শুনে? উহাদের রোদন অরণ্যে রোদন হইল, পাষাণ হৃদয় ইংরেজের মন কিছুতেই দ্রব হইল না। উহাকে সেই এক বসনে আনিয়া আপনার গাড়ীর ভিতর পুরিয়া কোচম্যানকে বলিল “গাড়ীচালাও”। অমনি গাড়ী চলিল। গাড়ী যত দূরবর্ত্তী হইতে লাগিল, উহার ক্রন্দন ধ্বনি তত বাড়িতে লাগিল; ক্রমে গাড়ী দৃষ্টিপথের অতীত হইয়া দক্ষিণ মুখে চলিয়া গেল। হরিদাসী বা আহ্লাদী। কেহই কোন কারণ জানতে পারল না; তাহারাও কাঁদিতে কাঁদিতে সদর দরজা বন্ধ করিয়া বাটির ভিতর প্রবেশ করল। ইহার পর আর ২৷৩ দিবস ঐ বাড়ীর দরজা কেহ খোলা দেখিতে পাইল না। পরে যখন দরজা খোলা হইল, তখন দেখা গেল হরিদাসী বা
পাতা:আদরিণী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪
আদরিণী।