অভিপ্রায়ে সকলের চক্ষে ধূলি দিয়া সুরূপা অসহায় স্ত্রীলোকদিগকে কপর্দ্দকশূন্যা নিপীড়িত ও পরিশেষে দেনা জালে জড়িতা করিয়া আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিতেছেন।
আমরা যে, তৃতলগৃহটির কথা বলিতেছি, পাঠক চলুন, একবার ইহার মধ্যে প্রবেশ করি। গৃহে প্রবেশ করিয়া একে একে পাঁচটী প্রকোষ্ট পর্য্যবেক্ষণ করিলাম, কত কি দেখিলাম—ইচ্ছা করিয়াছিলাম, মনে রাখিব, কিন্তু ভুলিয়া গেলাম, কেন ভুলিলাম, তবে শুনুন—মধ্যে গিয়া দেখি, একটি স্ত্রীলোক গললগ্নীকৃতবানে একজন বাঙ্গালী হাকিমের সম্মুখে দণ্ডায়মান, চক্ষু দিয়া অবিরল জলস্রোত বহিতেছে, পশ্চাতে এক জন ইংরাজ প্রহরী করালমূর্ত্তি ধরিয়া তাহার পাহারায় নিযুক্ত আছে।
হাকিম স্ত্রীলোকটিকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “তিনকড়ি” তুমি অম্বিকা চরণ দত্তের যে টাকা ধার, তাহা আদ্যাপি পরিশোধ কর নাই; সুতরাং তোমাকে এখানে আনা হইয়াছে; যদি এই মুহূর্ত্তেই টাকা প্রদান করিতে সমর্থ না হও, তবে তোমাকে জেলে যাইতে হইবে”। তিনকড়ি শুনিয়া অবাক্, নিম্পন্দ! পরে বহুকষ্টে অশ্রুজল মোচন করিয়া কহিল “ধর্ম্মাবতার অম্বিকা চরণ দত্ত কে? আমি