পাতা:আদরিণী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আদরিণী

তাহাকে জানি না বা চিনি না; আমি কখনও তাহার নিকট হইতে কোন টাকা কর্জ্জ করি নাই, এবং আমি কাহারও নিকট ঋণ-গ্রস্থ নহি।” এই বলিয়া পুনরায় রোদন করিতে লাগিল। হাকিম বলিলেন—“মিছা রোদন করলে কোন ফল নাই, যখন তোমার নামে নালিশ হইয়া ডিক্রি হইয়াছিল সেই সময় তোমার বলা উচিত ছিল এ আর সার শুনিবার সময় নাই। তুমি এখন টাকা দিতে পারিবে কি জেলে যাইবে বল?” তিনকড়ি কাঁদিতে কাঁদিতে বলিতে লাগিল ‘ধর্ম্মাবতার আপনি মা, বাপ, বিশেষ হাকিম, আমাকে জেতে দেওয়া কি ছার! আপনি মনে করলে আপনার যা ইচ্ছা তাহাই করতে পারেন। কিন্তু আমার নামে কখনও কে ডিক্রী করে নাই, আমি কাহার ও টাকা ধারিনা। আমার নিকট একটা পয়লা ও নাই, কাল যে কি খাইব তাহার ও সংস্থান নাই, আমি টাকা কোথা হইতে দিব?”

 হাকিম রাগান্বিত হইয়া কহিলেন, “আমি তোমার ও সকল কথা শুনতে পারিনা, ' প্রহরীকে সম্বোধন করিয়া বালিলেন “তুমি উহাকে এখনি জেলে রাখিয়া আইস।”

 তিনকড়ি কাঁদিতে কাঁদিতে বলিল “আমি জেলে যাই তাহাতে ক্ষতি নাই, কিন্তু ধর্ম্মাবতার, আমার একটা অল্পবয়স্ক—”