পাতা:আদরিণী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
আদরিণী।

দণ্ড পায় এই অভিপ্রায়ে তিনি পুলিশে সংবাদ দিলেন। পুলিশের প্রধান কর্ত্তা এই মােকদ্দমা অনুসন্ধান করিবার ভার এক হতভাগ্য এদেশীয় কর্ম্মচারীর হস্তে অর্পণ করিলেন। তিনি ২ দিবস পর্য্যন্ত অনুসন্ধান করিলেন,কিন্তু দোষীগণ কে—কোথায় থাকে,তাহা স্থির করা দূরে থাকুক, তিনকড়ি কে কোথায় থাকে—কোথা হইতে আসিরাছিল এবং এখন কোথায়ই বা গেল, তাহাও সন্ধান করিতে পারিলেন না; অথবা এমন কোন লোকও পাইলেন না যে বাহার দ্বারা কোন রূপে ইহার কিছু মাত্র সাহায্য হইতে পারে। তিনকড়ি জেলের মধ্যে কয়েদ অবস্থায় যেরূপ বিপদে পতিত হইয়া ভাবনায় অস্থির হইয়াছিল, কর্ম্মচারী তাহার অপেক্ষা শত গুণ বিপদে পতিত ও ভাবনায় অস্থির হইলেন। দোষীগণের সন্ধান করা দূরে থাকুক, যদি তিনকড়ি, হরিদাসী প্রভৃতিরও কোন সন্ধান করিতে না পারেন, তাহা হইলে কর্ত্তৃপক্ষদিগের নিকট তাহার লজ্জা ও অপমানের সীমা থাকিবে না; কিন্তু পরিশেষে জগদীশ্বরের কৃপায় ক্রমিক ৩ মাস কাল অবিরত পরিশ্রম ও যত্ন করিয়া উহার ভিতরের সমস্ত নিগুঢ় তত্ব অবগত হইলেন। সেই কর্ম্মচারী যে উপায় অবলম্বনে, যে প্রকার অবস্থায় বিপদে পড়িয়া এই অসম্ভাবিত স্বপ্ন সদৃশ অদ্ভুত বিষয় সকল অবগত হইতে পারিয়াছিলেন তাহা সমস্ত বিবৃত করিতে হইলে এই