পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ হিন্দী-হোটেল SO কথা আপনাকে বলবো। আপনার হাতের রাষা, চচ্চড়ি খেয়ে ভাল লেগেছে। খড়োমশায়। আমরাও তো রাঁধ, রান্নার ভালমন্দ বঝি। অমন রান্না কখনো খাইনি। আর একটা কথা হচ্চে আমার টাকাটার কথা মনে আছে। তো ? কি করলেন তার ? জানেন তো মেয়েরা শবশরিবাড়ীর লোকদের চেয়ে বাপের বাড়ীর লোকদের বেশী বিশবাস করে ? এদের হাতে ওটােকা পড়লে দিদিনে উড়ে যাবে। -টাকা তোমার এখনি নিতে পারবো না মা। কিন্তু আবার আমি এই পথে অসবো, তোমার সঙ্গে দেখা করবো। তখন হয়তো টাকার দরকার হবে, টাকা তখন হয়তো নিতে হবে। -কত দিনের মধ্যে আসবেন ? --তা বলতে পারি নে, ধর মাস দই। পাজের পরে কাতিক অন্ত্রাণ মাসের দিকে তোমার সঙ্গে দেখা করবো । -কথা রইল। তাহলে ? --ঠিক রইল। এসো এসো লক্ষয়ী ছোট্ট মা আমার-সাবিত্রী-সমান। হও, আশীবাদ করি তোমার বাড়-বাড়ন্ত হোক।

  • , বেলা পড়িয়া আসিয়াচ্ছে। হাজারি। আবার পথ চলিতে লাগিল। গোয়ালবাড়ীর সবাই এবেলা থাকিবার জন্য অনরোধ করিয়াছিল, বউটি তো বিশেষ করিয়া। কিন্তু থাকিবার উপায় নাই একটা কিছু যোগাড় না করা পর্যন্ত তাহার মনে সখি নাই।

মেয়েটি খাব আশ্চর্য ধরনের বটে। নিবোধ হয় তো-কুসমের মত বদ্ধিমতী নয় ঠিকই, তবও বড় ভাল মেয়ে। পথের দাধারে বনজঙ্গল ক্রমশঃ ঘন হইয়া উঠিতেছে-পথ। নদীয়া জেলা হইতে যত যশোর জেলার কাছাকাছি আসিয়া পৌছিতেছে এই বন ক্রমশঃ বাড়িতেছে। পিথানে সথানে বনজঙ্গল এত ঘন যে হাজারির ভয় করিতে লাগিল দিনমানেই বঝি বাঘের হাতে পড়িতে হয়। লোকের বসতি এসব স্থানে বেশী নাই, ভয় করিবারই কথা। সন্ধ্যার পাবে বেলের বাজারে আসিয়া পৌছিল। আগে যখন রেল