পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Qも आना छिन्न-टुहार्डीज হয় নাই, তখন বেলের বাজার খাব বড় ছিল, হাজারি শনিয়াছে তাহার গ্রামের বন্ধলোকদের মাখে। এখনও পাব অঞ্চল হইতে চাকদহের গঙ্গায় শবদােহা করিতে আসে বহলোক-তাহদের জন্যই বেলের বাজার এখনও টিকিয়া আছে। ' হাজারি রেলের বাজার দেখিয়া খাঁশি হইল ও আগ্রহের সঙ্গে দেখিতে লাগিল। ছেলেবেলা হইতে শনিয়া আসিয়াছে, কখনও দেখে নাই। চমৎকার জায়গা বটে। এই তাহা হইলে বেলে! তাহার এক মামাতো ভাই যশোর অঞ্চলে বিবাহ করিয়াছিল, তাহার বন্ধা শাশড়ীর মস্তৃত্যুর পরে শব্য লইয়া চাকদহে এই পথ বাহিয়া আসিতে আসিতে বেলের বাজারের কাছে ভৌতিক ব্যাপারের সম্মমাখীন হয়-এ গলপ মামাতো ভাইয়ের মখেই দ-তিনবার সে শনিয়াছে। হাজারি ঘরিয়া ঘরিয়া বাজারের দােকানগালি দেখিতে লাগিল। সর্বসম্বে ন’খানা দোকান, ইহারই মধ্যে চাল ডাল মদিখানার দোকান, কাপড়ের দোকান সব। একজন দোকানদারকে বলিল-একটা তামাক খাওয়াতে পারেন মশায় ? --আপনার ? 一召预穹目 --পেরণাম হই ঠাকুর মশায়। আসন, কোথায় যাওয়া হবে?-বসন, ওরে বামনের হাকোতে জল ফিরিয়ে নিয়ে আয়। দোকানখানি কিসের তাহা হাজারি বঝিতে পারিল না। এক পাশে চিটা গড়ের ক্যানেসত্রা চাল পর্যন্ত একটার গায় একটা উচু করিয়া সাজানো আছে--আর এক পাশে বড় বড় বস্তা। দোকানদার বন্ধ, বয়স পয়ষট্টি হইতে সত্তর হইবে, রোগা একহারা চেহারা, গলায় মালা। --নিন ঠাকুর মশায়, তামাক ইচ্ছে করুন। কোথায় যাওয়া হবে ? -- --যাচ্ছি। কাজের চেণ্টায়, রাণাঘাট হোটেলে সাত বছর রোধেছি, বেচু। চক্কত্তির হোটেলে। নাম শনেছেন বোধ হয়। ভাল। রাঁধনি বলে নাম আছেকিন্তু চাকুরীটকু গিয়েছে-এখন যাই তো একবার এই দিক পানে-যদি কোথায়ও কিছু জোটে।