পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জােদশ হিন্দী-হোটেল NS OA দোকানদীর পবাপেক্ষা অধিক সম্প্রমের চোখে হাজারিকে দেখিল। নিতান্ত গ্রাম্য ঠাকুর পাজারী বামন নয়—ব্রাণাঘাটের মত শহর বাজারের বড় হোটেলে সাত আট বছর সংখ্যাতির সঙ্গে রান্নার কাজ করিয়াছে, কত দেখিয়াছে শনিয়াছে, কত বড়লোকের সঙ্গে মিশিয়াছে।--না, লোকটা সে যাহা ভাবিয়ছিল তাহা নয়। হাজারি বলিল-রাত হয়ে আসচে, একটা থাকার জায়গার কি হয়। বলতে পারেন ? দোকানদার অত্যন্ত খাশি হইয়া বলিল-এইখানেই থাকুন। এর আর কি! আমার ওই পেছন দিকে দিব্যি চালা রয়েছে, একখানা তত্ত্বপোেশ রয়েচে । চালায় রান্না করেন, তত্ত্বপোশে শহয়ে থাকুন।

  • কথায় কথায় হাজারি বলিল-আচ্ছা। এখানে গঙ্গাযাত্রী দিন কত

याvाक्षाठ कई ? -সেদিন আর নেই বেলের বাজারের। আগে আট দশ দল, এক এক দলে দশ-বারো জন করে মানষ, এ নিত্য যেতো। এখন কোনোদিন মোটেই না, কোনোদিন তিনটে, বস্তুভ জোর চারটে। আগে লোকের হাতে পয়সা ছিল, মড়া, গঙ্গায় দিত-আজকাল হাতে নেই পয়সা-ম’লে নদীর ধারে, খালের ধারে, বিলের ধারে পড়োয়। হাজারি ভাবিতে ছিল বেলের বাজারে একখানা ছোটখাট হোটেল চলিতে পারে। কিনা। তিন দল গঙ্গাযাত্রীতে ত্রিশটি লোক থাকিলে যদি সকলে খায়, তবে ত্রিশজন খরিদার। ত্রিশজন খরিদ্দার রোজ খাইলে মাসে পঞ্চাশ টাকা লাভ থাকে খরচ-খরচা বাদে। সেই জায়গায় কুড়িজন হোক, পনেরো জন হোক, দশ জন হোক রোজ-তবও পরের চাকুরীর চেয়ে ভাল । পক্লের চাকুরী করিয়া পাইতেছে সাত টাকা আর অজস্র অপমান বকুনি। সবাদা ভয় ভয়ে থাকা-দশজন খারিন্দার যে হোটেলে রোজ খায়, সেখানে অন্ততঃ বারো তেরো টাকা মাসে লাভ থাকে। পরদিন সকালে উঠিয়া সে গোপালনগরের দিকে রওনা হইল। হাতের পয়সা এখনও যথেস্পট-পাঁচ টাকা আছে, কোনো ভাবনা নাই। কাল রাত্রে