পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

आक्रम' छिन्क्रा-टुशटीज মখে একটা সংখ্যাতির কথাও সে কখনো শোনে নাই, ভালো কথা তো দারের কথা, পদ্ম ঝি তাহাকে অশিবটি পাতিয়া পারে তো কোটে। গরীব লোক, এ বাজারে চাকুরী ছাড়িয়া দিয়া যাইবেই বা কোথায় ? যাক, তাহার জন্য সে তত ভাবে না। তাহার মনে একটা বড় আশা আছে, ভগবান তাহা যদি পণ করেন কোনোদিন-তবে তােহর সকল খেদ দদার হইয়া যায়। হোটেলের কাজ সে খব ভাল শিখিয়া লইয়াছে। সে নিজে একটা হোটেল খলিবে। হোটেলের বাহিরে লেখা থাকিবে शऊार्गब्र फ़क्लबऊौंब्र छिन्न-टुशzफेज রাণাঘাট ভদ্রলোকদের সস্তায় আহার ও বিশ্রামের সােথান। আসন ! দেখান! পরীক্ষা করুন!! s কতার মত তাকিয়া ঠেস দিয়া বসিয়া টিকিট বিক্রয় করিবে। রাঁধনীবামন ও ঝি “বাবা বলিয়া ডাকিবে। সে নিজে বাজারে গিয়া মাছ তরকারীকিনিয়া আনিবে, এ হোটেলের মত ঝিয়ের উপর সব ভার ফেলিয়া দিয়া রাখিবে না। খন্দেরদের ভাল জিনিস খাওয়াইয়া খােদশী করিয়া পয়সা লাইবে। সে এই কয় বছরে বঝিয়া দেখিল, লোকে ভাল জিনিস, ভাল রান্না খাইতে পাইলে দ-পয়সা বেশী রেট দিতেও আপত্তি করে না। এ হোটেলের মত জয়াচুরি সে করিবে না, মসরি ডালের সঙ্গে কম দামের খেসারি ডাল চালাইবে না, বাজারের কানা পোকা ধরা বেগন, রেলচালানি বরফ-দেওয়া সমতা মাছ বাছিয়া বাছিয়া হোটেলের জন্য কিনিবে না। এখানে খন্দেরদের বিশ্রামের বন্দোবস্ত নাই-যাহারা নিতান্ত বিশ্রাম করিতে চায়, কতার গদিতে বসিয়া এক-আধটা বিড়ি খায়-কিন্তু তাহার মনে হয়, বিশ্রামের ভাল ব্যবস্থা থাকিলে সে-হোটেলে লোক বেশী আসিবেঅনেকেই খাওয়ার পরে একটি গড়াইয়া লইতে চায়, সে তাহার হোটেলে একটা আলাদা ঘর রাখিবে খােচরা খন্দেরের বিশ্রামের জন্য। সেখানে তক্তাপোশের ওপর সতরঞ্চি ও চাদর পাতা থাকিবে, বালিস থাকিবে, তামাক খাইবার