পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्ञानभ* शिन्न-श्रानि ܬ বন্দোবস্ত থাকিবে, কেউ একটা ঘামাইয়া লইতে চাহিলেও অনায়াসে পরিবে। খাও-দাও, বিশ্রাম কর, তামাক খাও, চলিয়া যাও। রাণাঘাটের কোনো হোটেলে এমন ব্যবস্থা নাই, যদি বািড়য্যের হোটেলেও না। ব্যবসা ভাল করিয়া চালাইতে হইলে এ-সব ব্যবস্থা দরকার, নইলে রেলগাড়ীর সময়ে ইন্টিশানে গিয়া শািন্ধ আসন বাবা, ভাল হিন্দী-হোটেল, বলিয়া চোচাইলে কি আর খদের আসে ? খন্দেররা খোঁজে আরামে ভাল খাওয়া। যে দিতে পরিবে, তাহার ওখানেই লোক ঝাকিবে। অবশ্য ইহা সে বােঝে, আজ যদি একটা হোটেলে বিশ্রামের ঘর করে, তবে দেখিতে দেখিতে কালই রাণাঘাটের বাজারময় সব হিন্দী-হোটেলেই দেখাদেখি বিশ্রামের ঘর খালিয়া বসিবে-যদি তাহাতে খন্দের টানা যায়। তব্যও একবার নাম বাহির করিতে পারিলে, প্রথম যে নাম বাহির در করে তাহারই সংবিধা। আরও কত মতলব হাজারির মাথায় আছে, শািন্ধ খন্দেরদের বিশ্রাম-ঘর কেন। মোকদ্দমা-মামলা যাহারা করিতে আসে, চায়-সে ব্যবস্থা থাকিবে, পান-তামাকের দাম দিতে হইবে না, নিজেরাই সাজিয়া খাও বা হোটেলের চাকরেই সাজিয়া দিক। চাণী নদীর ধারে বসিয়া একা ভাবিলে এমন সব কত নতুন নতুন মতলব তাহার মনে আসে। কিন্তু কখনও কি তাহা ঘটিবে? তাহার মনের আশা পণ্য হইবে ? বয়স তো হইয়া গেল ছ'চল্লিশের উপর-সারাজীবন DBDB DBB BB DBDS BD DDB DDB DBBB BDB DDD DS ছা-পোষা গরীব লোক, কি করিয়া কি হইবে, তাহা সে ভাবিয়া পায় না। তব সে কেন ভাবে রোজ এ-সব কথা, এই চাণী নদীর ধারে বসিয়া ? ভাবিতে বেশ লাগে, তাই ভাবে। তবে বয়স হইয়াছে বলিয়া দমিবার পাত্র সে নয়। ছ'চল্লিশ বছর এমন কিছু বয়স নয়। এখনও সে অনেকদিন বাঁচবে। কাজে উৎসাহ তাহার আছে, একটা হোটেল খলিতে পারিলে সে দেখাইয়া দিবে কি করিয়া