পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR আদশ হিন্দী-হোড়েল কিতাপ, এই হাতাবেড়ি এই তার অতি পরিচিত সবগ। ইহাদের ছাড়িয়া কোথায় সে যাইবে? ভগবান এমন সখের দিনও মানষের জীবনে আনিয়া বংশীর হাতে কলিকা ফিরাইয়া দিয়া সে খাঁশির সহিত বলিল-নাও, আর একবার টান দিয়ে নাও। ডালে সম্পবীরা দিই গে-এবেলা এখনও বাজার আসে নি নাকি ? বংশী বলিল-মাছটা কেবল এসেছে। তারকারী পাতি এল বলে। গোবরা গিয়েছে। নতুন চাকর-বেশী লোক, আমার ওপর ভারি ভক্তি। এলে দেখো ଧ୍ବଂସ୍କି ! এই সময় তৃতীয় শ্রেণীর টিকিট লইয়া জন দাই খরিদার খাইবার ঘরে ঢাকিতেই হাজারি অভ্যাস মত পরাতন দিনের ন্যায় হকিয়া বলিল-বসন, বাব, জায়গা করাই আছে নিয়ে যাচ্ছি। বসে পড়ন। মাছ এখনও হয়নি। এত সকালে কিন্তু-শািধ, ডাল আর ভাজ-বংশী ভাত নিয়ে এস হে-- ডালটায় সম্বর দিয়ে নি।--বেলাও এদিকে প্রায় দশটা বাজে। কোম্পটনগরের গাড়ী আসবার সময় হোল। আজকাল ইন্টিশনের খদের আনে কে ? হাজারি যেন দেহে মনে নািতন বল ও উৎসাহ পাইয়াছে। হাজার হোক, সহর বাজার জায়গা রাণাঘাট, কত লোক জন, গাড়ী, হৈ হৈ, ব্যস্ততা, রেলগাড়ী, গাড়ী ঘোড়া,- একটা জায়গার মত জায়গা। এমন সময় একজন কালোমত ছোকরা চাকর তরকারী বোঝাই ঝড়ি৷ মাথায় রান্নাঘরে নীচু হইয়া ঢাকিল-পিছনে পিছনে পদ্মাঝি। পদ্মঝি বলিতে বলিতে আসিতেছিল-বাবাঃ, বেগােন আর কেনবার যো নেই। রাণাঘাটের বাজারে। আট পয়সা করে বেগনের সের ভূভারতে কে শনেছে কবে-যাত ব্যাটা ফড়ে জটে বাজার একেবারে আগমন করে রেখেচেসব চল্লো কালকেতা, সব চল্লো কালকেতা-তা গরীব-গরবো লোক কেনেই বা কি আর খায়েই বা কি-ও বংশী, কড়িটা ধরে নামাও ওর মাথা থেকে-দরজার চৌকাঠে পা দিয়াই সে সম্মখে থালায় অন্নপরিবেশনরত। হাজারিকে দেখিয়া থমকিয়া দাঁড়াইয়া একেবায়ে যেন কাঠ হইয়া গেল।