পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভ্রাদশ হিন্দৰ-হোচেন্ধ S9S কুসমে নিজে আসিয়াই খিল খলিল এবং হাজারিকে দেখিয়া অবাক ইয়া বলিল-জ্যাঠামশায়! কোথা থেকে ? আসন-আসন তারপরেই সে নীচু হইয়া হাজারির পায়ের ধলা লইয়া প্রণাম করিল। হাজারি হাসিমখে বলিল-এস এস মা, কল্যাণ হোক। ছেলেপিলে দুব ভাল তো ? এত রোগা হয়ে গিয়েছ, ইস্যু! তোমার কাকার মাখে। তোমার বন্ড অসখের কথা শািনলাম। কুসম বাড়ীর মধ্যে তাহাকে লইয়া গিয়া ঘরের মেঝেতে সতরঞ্জি পাতিয়া বসাইল। বলিল-ভয় নেই জ্যাঠামশায়, মরছি নে অত শীগগির। আপনি সেই যে গেলেন, আর কোনো খবর নেই। অসখের সময় আপনার কথা কত ভেবেছি জানেন জ্যাঠামশায় ? মরেই যদি যেতাম, দেখা হোত দার ? আখমেদ অ্যাপদ না হোলে মরেই তো -ছি ছি, মা, ও রকম কথা বলতে আছে ? -কোথায় ছিলেন এতদিন আপনি ? আজি কোথা থেকে এলেন ? -এড়োশোলা থেকে। কুসম ব্যস্ত হইয়া বলিল-হোটে এসেছেন বঝি ? খাওয়া হয়নি ? হাজারি হাসিয়া বলিল-ব্যস্ত হয়ো না মা। বলছি সব। সকালে এড়োশোলা থেকে। বলি, যাই একবার রাণাঘাট, তোমার সঙ্গে দখা করবার ইচ্ছে খাব হোল। রেলবাজারে যেমন বাবর হোটেলে দেখা করতে যাওয়া, অমনি বাবা বহাল করলেন। কাজে। সেখানে কােজ সাঙ্গ করে ণেীর ধারে বেড়িয়ে এই আসছি। -ওমা আমার কি হবে ? ওরা আবার আপনাকে ডেকে বহাল করেছে! বে মিথ্যে চুরির অপবাদ দিয়েছিল কেন ? পদ্ম আছে তো ? -০-পদ্ম নেই তো বাবে কোথায় ? আছে বলে আছে! খাব আছে। পরে গবের সরে বলিল-আমােয় না দিলে হোটেল যে ইদিকে চলে না। দের পাত্তর তো অ্যান্ধেক ফস। সব উঠেছে গিয়ে বড়িয্যে মশায়ের হোটেলে। হাজার হোক, হোটেলের মালিক, সতরাং ত্যাহার মানিবের সমশ্রেণীর লাক। হাজারি বদর বাঁড়িয্যের নামটা সমীহ কারিয়াই মাখে। উচ্চারণ করিল।