পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাদশ হিন্দী-হোলে S86 বংশী ঠাকুর পরিবেশনের সময় প্রত্যেক ঠিকা খারিন্দারকে মোলায়েম হাঁসি হাসিয়া বলিতে লাগিল-আজ্ঞে বাবা, ও-বেলা সত্যনারায়ণ হবে হোটেলে, আসবেন ও-বেলা-অবিশ্যি করে আসবেন DDB BDDBD DBB Bu uuDDD DBBBDBBDB D BuDuD DBB লাগিল । বংশী ঠাকুর হাজারিকে আড়ালে বলিল-সব ফাঁকির কাজ, এক চিলতে পাতার আগায় এক হােতা করে গড় গোলা আটা আর তার ওপর দাখানা তাসা-হয়ে গেল এর নাম তোমার সত্যনারাণের সিন্নি। চামার কোথাকার সন্ধ্যার সময় পাণ ভট্টাচাজ সত্যনারায়ণের পজা করিতে আসিলেন। ং সনের ঘরে সত্যনারায়ণের পিাড়ি পাতা হইয়াছে। হোটেলের দই চাকল্প লিয়া ঘড়ি ও কাঁসির পিটাইতেছে, পলিমাঝি ঘন ঘন শাঁকে ফাং পাড়িতেছেনিকটা খরিন্দার আকৃষ্ট করিবার চেস্টাতেও বটে। ন্টেশনে যে চাকর হি-ই-ই-কাদ হো-টে-ল’ বলিয়া চোঁচায়, তাহাকেও লিয়া দেওয়া হইয়াছে, সে যাত্রীদের প্রত্যেককে বলিতেছে—‘আসন ব্যাব, সন্নি পেরসাদ হচ্চেন হােটেলে, খাওয়ার বন্ড জং আজগে—আসন বাবা-” যাহারা নগদ পয়সার খারিন্দার, তাহারা ভাবিতেছে- অন্য হোটেলেও চা পয়সা দিয়া খাইবে যখন তখন সত্যনারায়ণের প্রসাদ ফাউ যদি পাওয়া }য়, বেচু চক্কত্তির হোটেলেই যাওয়া যাক না কেন। ফলে যদি বাঁড়িয্যের হাটেলের দৈনিক নগদ খারিন্দার যাহারা, তাহারাও অনেকে আসিয়া জটিতেছে ই হোটেলে। এদিকে নগদ খারিন্দারদের জন্য ব্যবস্থা এই যে, তাহদের সন্নি খাইতে দেওয়া হইবে ভাতের পাতে অর্থাৎ টিকিট কিনিয়া ভাত খাইতে কিলে তবে। নতুবা সিন্নিাটকু খাইয়া লইয়াই যদি খারিন্দার পালায় ? মাসিক খারিন্দারের জন্য অন্য প্রকার ব্যবস্থা। তাহারা চাঁদা দিয়াছে, ঈশষতঃ তাহদের খাতির করাও দরকার। পাজা সাঙ্গ হইলে তাহদের একত্র বসাইয়া প্রসাদ খাইতে দেওয়া হইল।--বেচু চক্কত্তি নিজে প্রত্যেকের ছৈ গিয়া জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন তাহারা আর একটি প্রসাদ লইবে কি না।