পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS आभ* श्त्रि-दृशटल এতদিন রাণাঘাটের বাজারে আছে-কখনও কাহারো সঙ্গে মেশে না। সে-মিশিতে ভালও বাসে না। তাহার জীবনের আশা যে-টা, সে-টা দশ জনের সঙ্গে মিশিয়া আন্ডা দিয়া গাঁজা খাইয়া বেড়াইলেই পণ্য হইবে না। তাহাকে খাটিতে হইবে, বাজার বঝিতে হইবে, হিসাব রাখা শিখিতে হইবে, একটা ভাল হোটেল চালাইবার যাহা কিছু সলাক-সন্ধান সব সংগ্রহ করিতে হইবে। সংসারে উন্নতি করিতে হইবে। সংসারে উন্নতি করিতে হইলে, দশের কাছে বড় মািখ দেখাইতে হইলে, পরের মাখে নিজের নাম শানিতে হইলে-সেজন্য চেস্টা চাই, খাটনি চাই। আড্ডা দিয়া গাঁজা খাইয়া বেড়াইলে কিংবা মতি চাকরের মত ছোট বাজারের বারোয়ারীর যাত্রা শনিয়া বেড়াইলে কি হইবে ? রাত অনেক। মাথা গরম হইয়া গিয়াছে। ঘািম আসার নামটি নাই। দরজায় খটখটু শব্দ হইল। হাজারি উঠিয়া দরজা খলিল-সে আগেই বঝিয়াছিল মতি চাকর ফিরিয়াছে। মতি ঘরে ঢকিয়া বলিলএখনো ঘমোওনি ঠাকুর ? এখনো জেগে যে! হাজারি গাঁজার কলিকা লাকাইয়া রাখিয়া তবে মতিকে দরজা খালিয়া দিতে গিয়াছিল। বলিল—যে গরম, ঘািম আসবে কি, সারাদিন আগনের তাতে-যাত্রা দেখলি নে ? • মতি বলিল-যাত্রার আসরে জায়গা নেই। লোক ভীতি। ফিরে এলাম। চল অন্য এক জায়গায়, যাবে ঠাকুরমশায় ? -काधाझ ? -পাড়ার মধ্যে। চলো না-ঘাম যখন নেই, একটি ঘরেই না হয়। এলে। তোমায় তো কোনদিন কোথাও হাজারি বলিল—তােরা ছেলে ছােকরা, আমার বয়স ছ’চল্লিশ। আমি, তোর বাপের বয়সের মানষে, আমার সঙ্গে ও-সব কথা কেন ?...তোর ইচ্ছে হয়, যা বঝিস করগে যা। -বাবার কাছে কি পদ্মদিদির কাছে কিছ বলো না ঠাকুরমশাই, দোহাই, দটি পায়ে পড়ি।