পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आक्म' श्न्क्रि-शटप्लेज ゞ(。 আশ্চর্য এই যে, মতির এই কথা হাজারির মনে এক নতুন ধরনের দুভাবনা আনিয়া দিল। তাহার উচ্চাশা আছে, মতির মত রাত বেড়াইয়া সাফতি করিয়া সময় নন্ট করিলে ভগবান তাহাকে দয়া করিবেন না। মতি কি ভাবিয়া আর বাহিরে গেল না, বাসনের ঘরে (হোটেলের পিতল কাসার থালা-বাটি রান্নাঘরের পাশে সিন্দকে থাকে, মাজাঘষার পর রোজ রাত্রে বেচু। চক্কত্তি নিজে দাঁড়াইয়া সেগলি গনিয়া সিন্দকে তুলিয়া রাখিয়া চাবি নিজে সঙ্গে করিয়া লইয়া যান) গিয়া শাইয়া পড়িল। হাজারিও বাসনের ঘরে শোয়, আজ সে বাহিরের গদির মেজেতে তাহার পরানো মাদারখানা পাতিয়া শাইল। না-যদবাবার হোটেলে সে যাইবে না। হোটেলের রাঁধানিগিরি সব জায়গায় সমান। এ হোটেলে আছে পদ্ম, ও হোটেলে হয়তো আবার কে আছে কে জানে ? তা ছাড়া, বেচুবাব, তাহার পাঁচ বছরের অন্নদাতা। লোভে পড়িয়া এতদিনের অন্নদাতাকে ত্যাগ করিয়া যাওয়া ঠিক নয়। সে নিজে হোটেল খলিবে, এই তো তাহার লক্ষ্য। রাঁধনি-বিত্তি যতদিন করিতে হয়, এই হোটেলেই করিবে। অন্য কোথাও যাইবে না। তাহার পর রাধাবুল্লভ দয়া করেন, তখন অন্য কথা। পরদিন খব। সকালে পদ্ম ঝি আসিয়া ডাকিল-ও ঠাকুর, দোর খোলএখনও ঘাম-বাবাঃ! কুম্ভকর্ণকে হার মানালে তোমরা! হাজারি তাড়াতাড়ি বিছানা হইতে উঠিয়া ছোড়া মাদারখানা গটাইয়া রাখিয়া দোর খালিয়া দিল। একটি পরেই বেচু চক্কত্তি আসিলেন। দরজায়, গদিতে ও ক্যাশ-বাক্সে গঙ্গাজলের ছিটা দিয়া, ক্যাশ-বাক্সের ডালার উপরটা সামান্য একটি গঙ্গাজল দিয়া মাজােনা করিয়া লইয়া পদ্ম ঝিকে বলিলেনধনো দে-বেলা হয়ে গেল। আজ হাটবার, ব্যাপারীদের ভীড় আছে, শীগগির করে আঁচ দে-আর সেদিনকার মত পচা দই-টই আনিস নে বাপ। ওতে নাম খারাপ হয়ে যায়-শেযকালে স্যানিটারি বাবার চোখে পড়ে যাবো। দরকার কি ?