পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদশ হিন্দী-হোড়েল ఏ సిరి করিয়া দিতে চাহিল হাজারির দঃসময়ে-সসময়ে সেই সরলা মেয়েটির দিকে তাহাকে চাহিতে হইবে। নতুবা ধর্ম থাকে না। পরদিন সকালেই হাজারি নতুনপাড়া রওনা হইল। চাকদা স্টেশন পর্যন্ত অবশ্য ট্রেনে আসিল-বাকী পথটুকু হাঁটিয়াই চলিল। সেই রকম বড় বড় তেতুিল গাছ ও অন্যান্য গাছের জঙ্গলে দিনমানেই এ পথে অন্ধকার। হাজারির মনে পড়িল সেবার যখন সে এ পথে গিয়াছিল, তঁখন রাণাঘাট হোটেলের চাকুরী তাহার সবে গিয়াছে—হাতে পয়সা নাই, পথ হাঁটিয়া এই পথে সে চাকুরী খাঁজিতে বাহির হইয়াছিল। আর আজ ? আজ অনেক তফাৎ হইয়া গিয়াছে। এখন সে রাণাঘাটের বাজারের দটি বড় হোটেলের মালিক। তার অধীনে দশ-বার জন লোক খাটে। যে মেয়েটির জন্য আজ তার এই উন্নতি, হাজারির সাধা নাই তাহার বিন্দদমাত্র প্রত্যুপকার সে করে-অতসী-মা বড় মানষের মেয়ে, তার ওপর সে বিবাহিতা-হাজারি তাহাকে কি দিতে পারে ? কিন্তু তাহার বদলে যে দই-একটি সরলা দরিদ্র মেয়ে তাহার সংস্পশো আসিয়াড়ে, সে তাহদের ভাল করিবার চেন্টা করিতে পারে। নতুনপাড়ার গোয়ালা-বউটি ইহাদের মধ্যে একজন। নতুনপাড়া পৌছিতে বেলা প্রায় নটা বাজিল। গ্রামের মধ্যে হঠাৎ না ঢকিয়া হাজারি পথের ধারের একটা তোতুলগাছের ছায়ায় কাহাদের গরর গাড়ী পড়িয়া আছে, তাহার উপর আসিয়া বসিল। সবাঙ্গে ঘাম, এক হাঁট ধলো—একটা জিরাইয়া লইয়া ঘাম মরিলে সম্মখের ক্ষদ্র ডোবাটার জলে পা ধাইয়া জােতা পায়ে দিব্যা ভদ্রলোক সাজিয়া গ্রামে ঢোকাই যক্তিসঙ্গত। একটি প্রৌঢ়বয়স্ক পথিক যশোরের দিক হইতে আসিতেছিল, হাজারিকে দেখিয়া সে কাছে গিয়া বলিল-দেশলাই আছে ? -আছে, বসন । ? I[*ffܪܚ 一夺円1 S 9