পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 আদশ হিন্দৰ-হোটেল -প্রণাম হই, একটা পায়ের ধলো দেন। ঠাকুরমশাই! লোকটির নাম কৃষ্ণলাল, জাতিতে শাঁখারি, বাড়ী পর্ববঙ্গ অঞ্চলে ; কথাবাতায় বেশ টান আছে পর্ববঙ্গের। বনগ্রামে ইচ্ছামতীর ঘাটে তাহাদের, শাঁখার বড় ভড় নোঙর করিয়া আছে, কৃষ্ণলাল পায়ে হাঁটিয়া এ অঞ্চলের গ্রামগলি এবং ক্লেতার আনন্মানিক সংখ্যা ইত্যাদি দেখিতে বাহির হইয়াহেঁই। কাজের লোক বেশীক্ষণ বসে না। একটা বিড়ি ধরাইয়া শেষ করিবার পবেই কৃষ্ণলাল উঠিতে চাহিল। হাজারি কথাবাতায় তাহাকে বসাইয় রাখিল। বনগাঁ হইতে সতেরো মাইল পথ হাঁটিয়া ব্যবসার খোঁজ লাইতে বাস্থির হইয়াছে যে লোক, তাহার উপর অসীম শ্রদ্ধা হইল হাজারির। ব্যবসা কি করিয়া করিতে হয় লোকটা জানে। সে বলিল-গজিটাজা চলে ? আমার কাছে আছেকৃষ্ণলাল এক গাল হাসিয়া বলিল-তা ঠাকুরমশায়-পেরসাদ যদি দেন। प्रक्षा क'द्ध-ऊहद ठा उठाना। --বসো তবে এক ছিলিম সাজি । হাজারি খাব বেশী যে গাঁজা খায়, তা নয়। তবে উপযক্তি সঙ্গী পাইলে এক-আধা ছিলিম খাইয়া থাকে। আজকাল রাণাঘাটে গাঁজা খাইবােব • সবিধা নাই, হোটেলের সকলে খাতির করে, তাহার উপর নরেন আছে-এই সব কারণে হোটেলে ও ব্যাপার চলে না-বাসায় তো নয়ই, সেখানে টেপি আছে। আবার যাহার-তােহর সঙ্গেও গাঁজা খাওয়া উচিত নয়, তাহাতে মান থাকে না। আজ উপযক্তি সঙ্গী পাইয়া হাজারি হস্টেমনে ভাল করিয়া ছিলিম সাজিল। কলিকাটি ভদ্রতা করিয়া কৃষ্ণলালের হাতে দিতে যাইতেই কৃষ্ণলাল এক হাত জিভ কাটিয়া হাত জোড় করিয়া বলিল-বােপরে, আপনারা দেবতা। পেরসাদ করে দিন আগে কথায় কথায় হাজারি নিজের পরিচয় দিল। কৃষ্ণলাল খাঁশি হইল, সেও বাজে লোকের সঙ্গে মিশিতে ভালবাসে না-নিজের চেন্টায় যে রাণাঘাটের বাজারে দটি বড় বড় হোটেলের মালিক, তাহার সহিত বসিয়া গাঁজা খাওয়া যায় বটে।